• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

মির্জাগঞ্জে মিথ্যা ধ*র্ষ*ণ চেষ্টার অভিযোগ দিয়ে মামলা করায় বাদী কারাগারে

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালীঃ / ২২৫ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করায় মোসাঃ হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৫ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিন রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসত ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদার (৪৫) এর দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারী মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে হালিমা বেগম।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামী মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী হালিমা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরন করা হয়।

পরে সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মজিদ হাওলাদার।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজু পূর্বক তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর পড়ুন: