• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫২৩ ডায়রিয়া রোগী!

অপূর্ব সরকার, পটুয়াখালীঃ / ১৮২ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন

অপূর্ব সরকার, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে হঠাৎ করে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে পাঁচশত তেইশ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তবে দিন যত যাচ্ছে গরমের সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গত এক সপ্তাহে ৫২৩ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রন্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগীর সংখ্যাও কম নয়।

এদিকে ডায়রিয়া রোগীর চাপে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাসপাতালের মেঝে থেকে শুরু করে হাঁটার পথ, বারান্দা সবখানেই অস্থায়ী বিছানা পেতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মশা-মাছি এবং নোংরা পরিবেশের কারণে ভোগান্তিতে আছেন আগত রোগী এবং তাদের স্বজনরা।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী এলাকার রোগী শিশু সাবিহার মা বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই পাতলা পায়খানা এবং বমি শুরু হয় এবং কেমন দুর্বল হয়ে পরে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে স্যালাইন দেয়া হয়। সেই থেকে স্যালাইন চলছে। এখন শরীর কিছুটা ভালো। তবে হাসপাতালে কোনো বেড পাইনি, তাই বারান্দায় ফোম বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।” একই কথা জানান হাজিখালী থেকে আসা রোগী চাঁদনী দেবনাথ, সাথে ছিল মা সুস্মিতা দেবনাথ। তিনি বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি করেছি, কিন্তু কোনো সিট খালি নেই তাই রাস্তার পাশে ছিট লাইচ্চা স্যালাইন দিতেছি। স্যালাইন-ওষুধ হাসপাতালই দেছে। তয় মশা মাছির কারণে টেকা দায়। চার দিকে গন্ধ আর প্রচণ্ড গরম, ভোগান্তির যেন শেষ নাই।”

পটুয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত সাত দিনে জেলায় ৫২৩ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন উপজেলায় ভর্তি হয়েছেন ইতিমধ্যে ৩৫৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় বাউফল উপজেলায় ৬ জন, দশমিনা উপজেলায় ১১ জন, দুমকি উপজেলায় ৭ জন, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৯ জন, কলাপাড়া উপজেলায় ১১ জন, গলাচিপা উপজেলায় ১৬ জন এবং পটুয়াখালী সদরে ৫৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ১৭৩৩ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রন্ত হয়ে চিকিৎসা নিলেও কোনো রোগী ডায়রিয়া আক্রন্ত হয়ে মারা যাননি।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান বলেন, “গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিগত বছরগুলোতেও এমন ভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিলো। এসব বিষয় মাথায় রেখে ডায়রিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সকলের খাবার গ্রহণ এবং পানি পানের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরিস্তিতি এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। খাবার স্যালাইনসহ অনান্য ওষুধেরও পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।”

অপরদিকে ডায়রিয়ার পাশাপাশি জেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ১৬২ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। তবে ডায়রিয়া কিংবা নিউমোনিয়ায় এ বছর জেলায় কোনো রোগী এ পর্যন্ত মারা যাননি।।


আরও খবর পড়ুন: