• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

বাউফলে ভূমি জরিপে ঘুষ আর দালালদের দৌরাত্ম; সাংবাদিকদের হাতে আটক দালাল

এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালীঃ / ৭৪ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে ডিজিটাল ভূমি জরিপ কার্যক্রমে ঘুষ ছাড়া সেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে সেটেলমেন্ট অফিসার ও সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসাররা ঘুষ আদায় করছেন এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাউফল ভূমি অফিসের ভেতরে হতদরিদ্র এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের সময় রাব্বি নামের এক দালালকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনি কৌশলে সরে যান।

অভিযোগ রয়েছে, ২০২২ সালে শৌলা মৌজার ডিজিটাল জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিটি ধাপেই ভুক্তভোগীদের ঘুষ দিতে হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অফিসারদের সামনে নগদ ঘুষের টাকা দেখিয়েও অভিযোগ তোলেন।

অভিযুক্ত দালাল রাব্বি দাবি করেন, তিনি “ভূমি জরিপ ট্রেনিং” করেছেন। কিন্তু নিয়মিত অফিসে কী কাজে থাকেন—সেটির সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে অফিস সহকারী রেজাউল করিম বলেন, রাব্বির হাতে কাগজ কিভাবে এলো তিনি জানেন না। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুস সালাম দাবি করেন, অভিযোগ ওঠা মৌজা তার অধীনে নয়। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার আতিউর রহমান জানান, “রাব্বি আমার দপ্তরের বদনাম করেছে, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই, জেলা কর্মকর্তাকে জানাব।”

জেলা সেটেলমেন্ট অফিসার নুসরাত জাহান খান মুঠোফোনে বলেন, “অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, এই ডিজিটাল ভূমি জরিপে শুধু রাব্বি একা দালাল নয়। রয়েছে ওতোপ্রোতভাবে ৪/৫ জন সক্রিয় দালাল। তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থাকে। তারা অফিসে বিকাল পর্যন্ত থাকে, সেখান থেকে আবার রাত গভীর পর্যন্ত অফিসারদের রুমে গিয়ে বিভিন্ন দালালি করে। তারা বিভিন্ন জমিদাতার থেকে ভুলভাল বুঝিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাকা পয়সা নেয়। তার কিছু অংশ অফিসারদের পকেটে যায়। আবার সেটেলমেন্ট অফিসারের সাথে থাকা সহযোগীরা জমিদাতাদের বিভিন্ন ভুলভাল বুঝিয়ে ডিসপোর্ট নামে এক জায়গারটা আরেক জায়গায় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ভোগান্তিতে ফেলে আসছে। যে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়ছে জমিদাতারা। এ যেন দুর্ভোগ ভোগান্তি আর হয়রানির আরেক নাম।


আরও খবর পড়ুন: