০৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি; সুপারের কক্ষে মারল ৩টি তালা

এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সুপারের কক্ষে তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ক্লাস শেষে যথারীতি মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ভারপ্রাপ্ত সুপার মাসুম বিল্লাহ এসে দেখেন তার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা ঝুলছে। পরে জানা যায়, এডহক কমিটির সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ একটি এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির উদ্দিন আরেকটি তালা মেরে দেন।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক মিলনায়তনে দুই পক্ষের শিক্ষক একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। পরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে অপসারণ করলেই প্রতিষ্ঠানটিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে।

ভারপ্রাপ্ত সুপার মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দায়িত্ব দেন। কর্তব্য পালনের সময় আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট-২৫) দেখি আমার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা ঝুলছে। পরে জানতে পারি সভাপতি ও সাবেক সুপার মিলে তালা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির উদ্দিন দাবি করেন, সভাপতির নির্দেশেই তিনি তালা দেন এবং এখনও তিনি দায়িত্বে আছেন। তবে সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ ফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাউফল উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নুরুন্নবী বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষকে ডেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন, পরীক্ষা বন্ধ, অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন 

error: Content is protected !!

বাউফলে মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি; সুপারের কক্ষে মারল ৩টি তালা

আপডেট সময়: ০৪:২০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সুপারের কক্ষে তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ক্লাস শেষে যথারীতি মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ভারপ্রাপ্ত সুপার মাসুম বিল্লাহ এসে দেখেন তার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা ঝুলছে। পরে জানা যায়, এডহক কমিটির সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ একটি এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির উদ্দিন আরেকটি তালা মেরে দেন।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক মিলনায়তনে দুই পক্ষের শিক্ষক একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। পরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে অপসারণ করলেই প্রতিষ্ঠানটিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে।

ভারপ্রাপ্ত সুপার মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দায়িত্ব দেন। কর্তব্য পালনের সময় আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট-২৫) দেখি আমার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা ঝুলছে। পরে জানতে পারি সভাপতি ও সাবেক সুপার মিলে তালা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির উদ্দিন দাবি করেন, সভাপতির নির্দেশেই তিনি তালা দেন এবং এখনও তিনি দায়িত্বে আছেন। তবে সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ ফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাউফল উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নুরুন্নবী বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষকে ডেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।