• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ দেড় লক্ষ টাকাসহ মালামাল লুট

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ / ৪৭২ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের দোকান ঘরের তালা হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে ভেঙ্গে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নগদ দেড় লক্ষ টাকাসহ দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল ভর্তি দোকান দখল করার এক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ব্যাপারে ঘটনার দিন রাতেই ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী আসিফ এন্টার প্রাইজের মালিক মো. তোফায়েল আহম্মেদ লিটন ৫ জনকে চিহ্নিত করে বাউফল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এজাহারকারী ক্ষতিগ্রস্থ তোফায়েল আহম্মেদ লিটন এজাহারে বলেছেন, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে কাশিপুর বাজারের উত্তর গলি রাস্তার পশ্চিম পাশে মো. শাহ জালালের একতলা ভবনের নিচতলা ০১.০৭.২৩ ইং তারিখ মৌখিকভাবে ভাড়া নিয়ে আসিফ এন্টার প্রাইজ নামে দোকান দিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং, পোল্ট্রি ফিড ও কীট নাশক ঔষধের ব্যবসা করে আসছিলাম। কিছুদিন পরে ভবনের মালিক শাহ জালাল তার নগদ টাকার জরুরী প্রয়োজনে ১.০৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত একতলা ভবনটি সাব কবলা মূলে বিক্রির কথা বলে। আমি ক্রয় করতে রাজি হই এবং স্থানীয় বাজার মূল্যের সর্বোচ্চ দরে ১০ লাখ টাকায় আমার কাছে বিক্রি করতে রাজি হলে ২০.১০.২৩ তারিখ বিক্রেতা শাহ জালাল নগদ ৫,৫০,০০০ টাকা সাক্ষীদের সামনে গুনে বুঝিয়া গ্রহন করে। এ সময় শাহ জালাল ও তার শশুর কুদ্দুস হাওলাদার সাক্ষীদের সামনে স্বাক্ষর করে একখানা অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন এবং ৬ মাসের মধ্যে জমির রেজিস্ট্রি করে দিবে, তখন বাকি ৪,৫০,০০০ টাকা পরিশোধ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন বিক্রেতা শাহ জালাল। কিন্তু শাহ জালাল দলিল রেজিস্ট্রি না দিয়ে নগদ নেয়া সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাত করার অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে এলাকার মো. মোশারেফ গাজীর কাছে আমার দোকান ঘর বিক্রি করে। সংঘাত এড়াতে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে মোশারেফ গাজীর সাথে দুই মাসের মধ্যে দোকান ছাড়ার চুক্তি করি। আমি (তোফায়েল আহম্মেদ লিটন) অন্য একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দোকান ঘর সংস্কার ও ডেকোরেশনের কাজ করতে বিলম্বের কারনে মোশারেফ গাজীকে বলে আরও এক মাসের মৌখিকভাবে সময় নেই।

তোফায়েল আহম্মেদ লিটন আরও বলেছেন, ঘটনার দিন ১৬.৬.২৪ ইং তারিখ রবিবার সকালে দোকান খুলে বেচা-কেনা করে আনুমানিক বেলা ১১ টার সময় দোকান বন্ধ করে তালা মেরে পটুয়াখালী শহরে যাই। এই সুযোগে বিবাদী পক্ষ মোশারেফ গাজী (৩৫), আঃ রহমান গাজী(২৪), বিউটি বেগম(৫৩), মো. শাহ জালাল(৪৫), মো. জাহিদ(৩০) গং দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আসিফ এন্টার প্রাইজ দোকানে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও লোহার রড দিয়ে তালা ভেঙ্গে শার্টার উঠিয়ে দোকানে ঢুকে ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, দোকানে থাকা এজেন্ট ব্যাংকিং কাজে ব্যবহারিত এসপি কোম্পানীর ল্যাপটপ যার মূল্য ৫৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন কোম্পানীর ৮০ হাজার টাকা মূল্যের কীটনাশক ঔষধ সহ দুই লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে দোকানে তালা দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। এ সময় তোফায়েল আহম্মেদ লিটনের ছেলে আসিফসহ প্রতক্ষদর্শী কয়েকজন বাধা নিষেধ করলে মোশারেফ গাজী গং দেশীয় তৈরী ধাড়ালো অস্ত্র হাতে খুন জখম করার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করতে দেখে অস্ত্র হাতে তাদেরকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় উক্ত সন্ত্রাসী ও লুটেরা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী বীর মিক্তিযোদ্ধা মরহুম সামছুল আলম এর ছেলে আসিফ এন্টার প্রাইজের মালিক মো. তোফায়েল আহম্মেদ লিটন ঘটনার দিন রাতে উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে বিবাদী করে বাউফল থানায় একটি লিখিত এজাহার করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী তোফায়েল আহম্মেদ লিটন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এসে জানান, “উক্ত ঘটনায় বাউফল থানায় এজাহার দাখিল করলেও কর্তৃপক্ষ (ওসি) এজাহারটি অজ্ঞাত কারনে রেকর্ড করেননি। তিনি শালিস মিমাংসার কথা বলেন।”

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার রায় জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাটি শালিস মিমাংসা করে দিবেন।” বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশারেফ হোসেন জানান, “ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়ার কথা বলেছি। এজাহার করার পর শালিস বিচার হবে বলেছি।” তোফায়েল আহম্মেদ লিটন বলেন, “আজ ৫/৬ দিন হয় ওসি এজাহার রেকর্ড করছেন না। আমার দোকানের নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছে। লুট ঘটনার ভিডিও এবং ছবিসহ থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও কোন বিচার পাচ্ছিনা।”


আরও খবর পড়ুন: