জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদক: প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসর সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ও সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে পটুয়াখালীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় শহীদ মিনারের সামনে পটুয়াখালী-১ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত পটুয়াখালী-১ আসনের প্রার্থী আলহাজ্ব মুফতি মোঃ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারম সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়েখে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক আলহাজ্ব আব্দুল গণি হাওলাদার ও যুগ্ম সমন্বয়কারী মাস্টার মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী-৪ আসনের প্রার্থী আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মুফতী আবু বকর সিদ্দীক, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সভাপতি হাওলাদার মোঃ সেলিম মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারী এইচ এম আব্দুল হাকিম, সদস্য আলহাজ্ব মাও. আবুল হাসান বোখারী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাও. মো. আবু সাঈদ, জাতীয় শিক্ষা ফোরাম জেলা কমিটির সভাপতি মাও. মুহা. আনছার উল্লাহ আনছারী, জেলা ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনছার উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাওলাদার মাও. আলী হাসান রুহানী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মিরাজ হোসেন।
প্রধান অতিথি শায়েখে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম সমাবেশে বিএনপি ও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলের কঠোর সমালোচনা করে বলেন ৭২ এর সংবিধান ভারতের হুবহু ডুপ্লিকেট কপি। আমরা ৭২ এর সংবিধানের বিরোধীতা করলে আমাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে। আমরা রাষ্ট্রদ্রোহী নই, আমারা ভারতের বিরুদ্ধে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে বিএনপি বেশী লাভবান হবে। আমরা জুলাই-আগস্টের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে ইসলামের সমমনা দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাসমুক্ত দেশ চাই। আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষে পটুয়াখালীর পটুয়াখালী-১, ৩ ও ৪ আসনে তিনজন প্রার্থী ঘোষনা করেছি। বক্তৃতার শেষ পর্যায় উক্ত ৩টি আসনের মনোনীথ প্রার্থীকে পরিচয় দিয়ে হাত পাখায় ভোট চেয়েছেন প্রধান অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারম সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়েখে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
সমাবেশে ১০ সহাস্রাধিক তৌহিদী জনতার সমাবেশ ঘটেছে বলে নেতৃবৃন্দ দাবী করেন।