০২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলাচিপায় জনতার হাতে গরুসহ চোর আটক

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুইটি গরুসহ রিপন আকন (৩৫) নামে এক চোরকে আটক করেছে জনতা। শুক্রবার (৭ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী এলাকা থেকে গরু চুরি করে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুরি করা গরুগুলো আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সোনা গাজীর গোঁজা সংলগ্ন ভাঙা ব্রিজের কাছে গাড়িতে করে পাচারের সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে রিপন। পরে এলাকাবাসী তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটককৃত রিপন আকন (৩৫) গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নলুয়াবাগী গ্রামের রাজ্জাক আকনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রিপন দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য হিসেবে চুরির সঙ্গে জড়িত। কয়েক মাস আগে নলুয়াবাগীতে শহিদুল মৃধার বসতঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে থানায় দেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশ মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। তবে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় জামিনে বেরিয়ে এসে সে পুনরায় চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় চুরির ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে রিপনকে আটক করে মারধরের অভিযোগ তুলে নলুয়াবাগী সাংগঠনিক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ মৃধাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন,”স্থানীয় জনতা গরুসহ চোরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ধরনের অপরাধ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাদুর রহমান বলেন,”আটককৃত চোরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার পূর্বের অপরাধ রেকর্ড যাচাই করা হচ্ছে। গরুচুরি রোধে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।

এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ চোরচক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি গরুচুরি প্রতিরোধে আরও কঠোর অভিযান চালানোর আহ্বান জানান। বিশেষ করে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশীয় গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চোরচক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর ঈদের আগে চোরেরা সাধারণ মানুষের গরু চুরি করে শহরে পাচার করে, যার ফলে এলাকাবাসী আতঙ্কে থাকে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে ৩,৫৭০ কেজি জাটকা জব্দ; দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ

error: Content is protected !!

গলাচিপায় জনতার হাতে গরুসহ চোর আটক

আপডেট সময়: ১১:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুইটি গরুসহ রিপন আকন (৩৫) নামে এক চোরকে আটক করেছে জনতা। শুক্রবার (৭ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী এলাকা থেকে গরু চুরি করে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুরি করা গরুগুলো আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সোনা গাজীর গোঁজা সংলগ্ন ভাঙা ব্রিজের কাছে গাড়িতে করে পাচারের সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে রিপন। পরে এলাকাবাসী তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটককৃত রিপন আকন (৩৫) গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নলুয়াবাগী গ্রামের রাজ্জাক আকনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রিপন দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য হিসেবে চুরির সঙ্গে জড়িত। কয়েক মাস আগে নলুয়াবাগীতে শহিদুল মৃধার বসতঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে থানায় দেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশ মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। তবে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় জামিনে বেরিয়ে এসে সে পুনরায় চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় চুরির ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে রিপনকে আটক করে মারধরের অভিযোগ তুলে নলুয়াবাগী সাংগঠনিক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ মৃধাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন,”স্থানীয় জনতা গরুসহ চোরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ধরনের অপরাধ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাদুর রহমান বলেন,”আটককৃত চোরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার পূর্বের অপরাধ রেকর্ড যাচাই করা হচ্ছে। গরুচুরি রোধে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।

এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ চোরচক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি গরুচুরি প্রতিরোধে আরও কঠোর অভিযান চালানোর আহ্বান জানান। বিশেষ করে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশীয় গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চোরচক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর ঈদের আগে চোরেরা সাধারণ মানুষের গরু চুরি করে শহরে পাচার করে, যার ফলে এলাকাবাসী আতঙ্কে থাকে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।