০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার ৪র্থ শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে ১৩ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেনীর এক শিশু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে ভিকটিমের মা কর্তৃক পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৪৪, তারিখ-২৯.০৩.২৪ইং। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের দক্ষিন তিতকাটা এলাকায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, ইটভাটার শ্রমিক মোঃ হেলাল চৌকিদারের স্ত্রী শাহানাজ বেগম তিতকাটা নদীতে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ঘটনার দিন ২৩ মার্চ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মা (শাহানাজ বেগম) তার ১৩ বছরের শিশু (দক্ষিন তিতকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর পড়ুয়া) মেয়েকে বসত ঘরে রেখে অতিদূরে তার বাবার বাড়ি যায়। এদিন দুপুর আনুমানিক ২টার সময় চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী পেঁয়াজ এর জন্য বিবাদী ধর্ষক শফিক হাওলাদার (২২) এর বসত ঘরের সামনে গিয়ে ধর্ষকের দাদিকে বুড়া মা, বুড়া মা বলে ডাক দিতে থাকে। এ সময় শফিক দাদি ঘরের মধ্যে আছে বললে ভিকটিম সরল বিশ্বাসে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করা মাত্রই ঘরের সামনের দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে চৌকির উপর নিয়ে স্যালোয়ার কামিজ খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় ভিকটম ধর্ষক শফিকের সাথে ধস্তাধস্তি ও ডাকচিৎকার শুনে বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই ধর্ষক লম্পট শফিক দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষক পরিবার ও তাদের স্বজনরা ভিকটিম ও ভিকটিমের মা (শাহানাজ) কে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে শালিস বিচারের কথা বলে আলামত নস্ট করার সুযোগের চেষ্টা করে। বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় চৌকিদার মােঃ মাসুদ জানান, ঘটনাটি ঘটনার দিন রাতেই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট অফিসার এএসআই সাইফুল স্যারকে জানিয়েছি। স্যার বলেছেন ঠিক আছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার জানান, আমি ঘটনাটি শুনে স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।

দক্ষিন তিতকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তারেক মিয়া ও স্থানীয় ওয়াইদ মাদবর কৌশলে ভিকটিম ও ভিকটিমের মাকে নিয়ে ২৮ মার্চ রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আসে। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম পিপিএম-বিপিএম সদর থানার ওসিকে ভিকটিমের কথা শুনে মামলা নিতে বলেন। ওসি মোঃ জসিম জানান, ২৯ মার্চ সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মেডিকেল টেস্টও হয়েছে। মামলার আসামী মোঃ শফিক হাওলাদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...
জনপ্রিয়

জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে পটুয়াখালীর টাউন বহালগাছিয়া সঃ প্রাঃ স্কুলে চিত্রাংকন ও স্কুল ফিডিং অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!

পটুয়াখালীতে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার ৪র্থ শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী

আপডেট সময়: ১১:০০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে ১৩ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেনীর এক শিশু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় একজনকে আসামী করে ভিকটিমের মা কর্তৃক পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৪৪, তারিখ-২৯.০৩.২৪ইং। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের দক্ষিন তিতকাটা এলাকায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, ইটভাটার শ্রমিক মোঃ হেলাল চৌকিদারের স্ত্রী শাহানাজ বেগম তিতকাটা নদীতে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। ঘটনার দিন ২৩ মার্চ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মা (শাহানাজ বেগম) তার ১৩ বছরের শিশু (দক্ষিন তিতকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর পড়ুয়া) মেয়েকে বসত ঘরে রেখে অতিদূরে তার বাবার বাড়ি যায়। এদিন দুপুর আনুমানিক ২টার সময় চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী পেঁয়াজ এর জন্য বিবাদী ধর্ষক শফিক হাওলাদার (২২) এর বসত ঘরের সামনে গিয়ে ধর্ষকের দাদিকে বুড়া মা, বুড়া মা বলে ডাক দিতে থাকে। এ সময় শফিক দাদি ঘরের মধ্যে আছে বললে ভিকটিম সরল বিশ্বাসে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করা মাত্রই ঘরের সামনের দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে চৌকির উপর নিয়ে স্যালোয়ার কামিজ খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় ভিকটম ধর্ষক শফিকের সাথে ধস্তাধস্তি ও ডাকচিৎকার শুনে বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই ধর্ষক লম্পট শফিক দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষক পরিবার ও তাদের স্বজনরা ভিকটিম ও ভিকটিমের মা (শাহানাজ) কে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে শালিস বিচারের কথা বলে আলামত নস্ট করার সুযোগের চেষ্টা করে। বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় চৌকিদার মােঃ মাসুদ জানান, ঘটনাটি ঘটনার দিন রাতেই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট অফিসার এএসআই সাইফুল স্যারকে জানিয়েছি। স্যার বলেছেন ঠিক আছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার জানান, আমি ঘটনাটি শুনে স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।

দক্ষিন তিতকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তারেক মিয়া ও স্থানীয় ওয়াইদ মাদবর কৌশলে ভিকটিম ও ভিকটিমের মাকে নিয়ে ২৮ মার্চ রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আসে। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম পিপিএম-বিপিএম সদর থানার ওসিকে ভিকটিমের কথা শুনে মামলা নিতে বলেন। ওসি মোঃ জসিম জানান, ২৯ মার্চ সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মেডিকেল টেস্টও হয়েছে। মামলার আসামী মোঃ শফিক হাওলাদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।