পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে সততা কোম্পানীর ম্যানেজারকে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ৭ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা ও দুই আসামী গ্রেফতার। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর থানার চর মৈশাদি এলাকায়। মামলা নং ১৬, তারিখ ২৮.১২.২৩ ইং।
ভিকটিম ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ১৭ ডিসেম্বর রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে সততা কোম্পানীর ম্যানেজার ভিকটিম মো. খলিল হাওলাদার (৪৫) ধরান্দী বাজার হতে কোম্পানীর নগদ ৭,৭৬,৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চর মৈশাদি আসামীদের বাড়ির সামনে রাস্তায় পৌছলে সেখানে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী আলম হাওলাদারের ছেলে মো. রাকিব হোসেন হাওলাদার ও আব্দুর রহিম হাওলাদার, আলম হাওলাদার এবং মিজু হাওলাদারের ছেলে রাকিব মৃধাসহ ২/৩ জন অজ্ঞাত দুর্বত্তরা পথ রোধ করে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মেরে ফুলা জখম করার এক পর্যায় রাকিব হোসেন হাওলাদার তার হাতে থাকা হাতুরী দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এ সময় ভিকটিম খলিল হাওলাদার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় দুর্বৃত্ত আব্দুর রহিম হাওলাদার ও আলম হাওলাদার ভিকটিমের কাছে থাকা কোম্পানীর নগদ ৭,৭৬,৫০০ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখমী খলিল হাওলাদারের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল এসে খলিল হাওলাদারকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনা পুলিশকে অবহিত করলে সদর থানার পুলিশ ঘটনার রাতেই আসামী আব্দুর রহিম হাওলাদার ও আলম হাওলাদারকে গ্রেফতার করে সোমবার তাদেরকে কোর্টে প্রেরন করে। মামলার বাদী ভিকটিম খলিল হাওলাদারের স্ত্রী মোসাঃ মাহিনুর বলেন, “আসামীদের সাথে আমার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আসামীরা এ ঘটনার আগে থেকে আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি করে আসছিল। আসামীরা খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। ওদের বিচার চাই।”
মামলার অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে সদর থানার পুলিশের অফসার জানান।