০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদি’কে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের সন্দেহভাজন ফয়সালের বাড়ি বাউফলে, থাকে না পরিবারের কেউ

রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলোচনায় আসা সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল (দাউদ খান)-এর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার পরিবারের কেউই বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করে না।

পুলিশ কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডেের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির। বর্তমানে তিনি ঢাকার আদাবর এলাকায় বসবাস করছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ফয়সাল করিম মাসুদ রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে গত মাসে আদাবর এলাকায় একটি স্কুলে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে গ্রেপ্তারের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

ফয়সালের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তার পরিবারের পুরোনো জমিতে একটি নতুন ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘরটি ফয়সালের পরিবারের নয়।

তারা জানান, ফয়সালের পরিবার অনেক আগেই সব জমিজমা বিক্রি করে ঢাকায় চলে গেছে। যাদের কাছে জমি বিক্রি করা হয়েছে, তারাই বর্তমানে সেখানে ঘর তুলছেন।

এলাকাবাসী বলেন, ফয়সালের পরিবার বহু বছর ধরে গ্রামে আসে না। তার বাবা পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই ঢাকায় বসবাস করছেন। স্থানীয়দের অনেকেই জানান, তারা কখনো ফয়সালকে গ্রামে দেখেননি।

কেশবপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদ হোসেন (বোনা খাঁন) বলেন, “ফয়সালের পরিবার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে গ্রামে নেই। তার বাবা ঢাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত এবং সেখানেই বসবাস করেন। ফয়সালের জন্মও ঢাকায়। গ্রামের অংশে যে সামান্য জমি তার বাবার ভাগে ছিল, সেটিও তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। গ্রামে সেলিম হাওলাদার নামে তার এক চাচা বসবাস করেন।”

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, “বিষয়টি জানার পর থেকেই পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ত্যাগ করেছেন। সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে এবং তার উপস্থিতি শনাক্ত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বরগুনায় তরুণদের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

error: Content is protected !!

হাদি’কে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের সন্দেহভাজন ফয়সালের বাড়ি বাউফলে, থাকে না পরিবারের কেউ

আপডেট সময়: ০১:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলোচনায় আসা সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল (দাউদ খান)-এর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার পরিবারের কেউই বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করে না।

পুলিশ কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডেের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির। বর্তমানে তিনি ঢাকার আদাবর এলাকায় বসবাস করছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ফয়সাল করিম মাসুদ রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগে গত মাসে আদাবর এলাকায় একটি স্কুলে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে গ্রেপ্তারের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

ফয়সালের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তার পরিবারের পুরোনো জমিতে একটি নতুন ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘরটি ফয়সালের পরিবারের নয়।

তারা জানান, ফয়সালের পরিবার অনেক আগেই সব জমিজমা বিক্রি করে ঢাকায় চলে গেছে। যাদের কাছে জমি বিক্রি করা হয়েছে, তারাই বর্তমানে সেখানে ঘর তুলছেন।

এলাকাবাসী বলেন, ফয়সালের পরিবার বহু বছর ধরে গ্রামে আসে না। তার বাবা পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই ঢাকায় বসবাস করছেন। স্থানীয়দের অনেকেই জানান, তারা কখনো ফয়সালকে গ্রামে দেখেননি।

কেশবপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদ হোসেন (বোনা খাঁন) বলেন, “ফয়সালের পরিবার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে গ্রামে নেই। তার বাবা ঢাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত এবং সেখানেই বসবাস করেন। ফয়সালের জন্মও ঢাকায়। গ্রামের অংশে যে সামান্য জমি তার বাবার ভাগে ছিল, সেটিও তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। গ্রামে সেলিম হাওলাদার নামে তার এক চাচা বসবাস করেন।”

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, “বিষয়টি জানার পর থেকেই পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ত্যাগ করেছেন। সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে এবং তার উপস্থিতি শনাক্ত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”