সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালী সদর উপজেলাসহ জেলার ৮টি উপজেলার স্বাস্থ্য কার্যালয়ে মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারিদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন অব্যাহত।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সামনে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারিদেরকে অবস্থান কর্মসূচী পালন করতে দেখা গেছে। গত ২৯ নভেম্বর হতে এ কর্মসূচী চলছে বলে স্বাস্থ্য সহকারিরা জানান।
এ অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক এসোসিয়েশন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সদস্য মোঃ মহসিন মাহমুদ, কাজী মাহবুব উল আলম, মোঃ ইদ্রিস, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মোস্তাক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা সমিতির সভাপতি রাশিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ ইত্তেকজাহান শিরিন ও সদর উপজেলা হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা ফেরদৌস।
স্বাস্থ্য সহকারিদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার স্বাস্থ্য সহকারি জাতিকে বার বার আশ্বাস দেয়া সত্বেও যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহনে অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রহসনমূলক আচরনের প্রতিবাদে ” বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন” কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক স্বাস্থ্য সহকারি ১৪ তম গ্রেড, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১৩ তম ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১২ তম গ্রেড প্রদানসহ ৬ দফা। এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী চলবে বলে বক্তারা হুশিয়ারি করেন। এ কর্মবিরতিতে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও আন্দোলনকারীরা জানান।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে ৩৭ জন স্বাস্থ্য সহকারি এবং জেলায় চারশতাধিক স্বাস্থ্য সহকারি উক্ত দাবীতে কর্মবিরতি পালন করছেন বলেও আন্দোলনকারিরা জানান।
জালাল আহমেদ, পটুয় 













