“আমিই প্রথম এ আসন থেকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হই। আমার হাত ধরেই এ আসনে বিএনপির জনপ্রিয়তার সৃষ্টি হয়েছে। আমাকে আপনারা না চিনলেও আসম ফিরোজ চেনে আমি কেমন”- পটুয়াখালী -২ (বাউফল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “মনোনয়ন ঘোষণার আগে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলেছেন ধানের শীষ প্রতীক যে পাবে আমরা তার সাথে থাকবো। কিন্তু মনোনয়ন ঘোষণার পর এখন কেন বলছেন এ মনোনয়ন মানি না? আপনাদের সকলকে আহ্বান জানাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করে এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দেই।’
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঐতিহ্যবাহী বাউফল পাবলিক মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত বিশেষ দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদুল আলম তালুকদার বাউফল আসনের জামায়াত সম্পর্কে বলেন, “এখানে জামায়াত বড় ঘাঁটি করেছে। জামায়াতকে প্রতিহত করতে শহিদুল আলমকে লাগে না? ”তখন উপস্থিত জনতা বলেন— ‘লাগে!’
দোয়া–মিলাদে সাবেক এমপি ও বিএনপি প্রার্থী শহিদুল আলম তালুকদার আরও বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তিনি কেবল একজন নেত্রী নন, তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি দীর্ঘদিন দেশের মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, জুলুম সহ্য করেছেন। আজ যখন তিনি জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন আপনারা তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।”
দোয়া–মিলাদ পরিচালনা করেন উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা হাবিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের সহধর্মিণী সালমা আলম লিলি, তাঁর ভাই ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম তালুকদার, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, বিএনপি নেতা সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহমান সেলিম, সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ রসুল পান্নু, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজি মোঃ গিয়াস উদ্দিন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক অলিউল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ সহ আরও অনেকে।
এম. জাফরান হারুন: 













