১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে দু’গ্রুপের সংঘ*র্ষে আ*হ*ত -১৪

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে জমাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় একজন সেনা সদস্যও গুরুতর জখম হয়েছে। মুমুর্ষু অবস্থায় ৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১২) এপ্রিল দুপুর ১২টায় উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন কনকদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিন কনকদিয়া হাওলাদার বাড়ীর আনোয়ার হোসেন ও আবদুর রহিম গংদের সাথে সোয়া তিন শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষের মানীত শালিশ মাহবুব খান, সালাম মোল্লা ও সার্ভেয়ার ফরহাদ তালুকদার বিরোধপূর্ণ জমাজমির বিষয় আনোয়ার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এতে মনপুত হয়নি রহিম গংদের। তিনি (আবদুর রহিম সেনা সদস্য) ছুটিতে এসে বাউফলের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।বিষয়টি সেনা বাহিনী আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রতিক কুমার কুন্ডকে দায়িত্ব দেন। ভূমি অফিস সকল কাগজ পর্যালোচনা করে আনোয়ার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। সে রায়ও না মেনে আরও চরম ক্ষিপ্ত হন আবদুর রহিম।

শনিবার দুপুর ১২ টার সময় আনোয়ার গংদের বসত ঘরে রক্ষিত সকল মালামাল ঘরের বেড়া ও ছোট বাচ্চাদের উপরও হামলা করে তারা। বাঁধা দিলে মোসা রিনা (২৮), স্বামী সুমন হাওলাদার, মোসা শিরীনা বেগম (২৫) স্বামী শামিম হাওলাদার, মো. শহিদ হাওলাদার (৫২), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. তানভির হোসেন, মো. খলিল হোসেন,ফজলুল করিম, শামীম হাওলাদার ও ছোট্ট শিশু (৯) সাদিয়া সহ প্রায় ১১ জন আহত হয়। ওই সময় সেনা সদস্য আবদুর রহিমও গুরুতর আহত হন।

দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই সময় তারা ৬ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে রিনা. শিরীন ও শহীদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এব্যাপারে আবদুর রহিম জানান, তারা আওয়ামী দোষর, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। আমি আমার পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি রক্ষার জন্য দখলে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে আমাকে গুরুতর জখম করে।

বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে ৩,৫৭০ কেজি জাটকা জব্দ; দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ

error: Content is protected !!

বাউফলে দু’গ্রুপের সংঘ*র্ষে আ*হ*ত -১৪

আপডেট সময়: ১২:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে জমাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় একজন সেনা সদস্যও গুরুতর জখম হয়েছে। মুমুর্ষু অবস্থায় ৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১২) এপ্রিল দুপুর ১২টায় উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন কনকদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিন কনকদিয়া হাওলাদার বাড়ীর আনোয়ার হোসেন ও আবদুর রহিম গংদের সাথে সোয়া তিন শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষের মানীত শালিশ মাহবুব খান, সালাম মোল্লা ও সার্ভেয়ার ফরহাদ তালুকদার বিরোধপূর্ণ জমাজমির বিষয় আনোয়ার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এতে মনপুত হয়নি রহিম গংদের। তিনি (আবদুর রহিম সেনা সদস্য) ছুটিতে এসে বাউফলের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।বিষয়টি সেনা বাহিনী আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রতিক কুমার কুন্ডকে দায়িত্ব দেন। ভূমি অফিস সকল কাগজ পর্যালোচনা করে আনোয়ার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। সে রায়ও না মেনে আরও চরম ক্ষিপ্ত হন আবদুর রহিম।

শনিবার দুপুর ১২ টার সময় আনোয়ার গংদের বসত ঘরে রক্ষিত সকল মালামাল ঘরের বেড়া ও ছোট বাচ্চাদের উপরও হামলা করে তারা। বাঁধা দিলে মোসা রিনা (২৮), স্বামী সুমন হাওলাদার, মোসা শিরীনা বেগম (২৫) স্বামী শামিম হাওলাদার, মো. শহিদ হাওলাদার (৫২), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. তানভির হোসেন, মো. খলিল হোসেন,ফজলুল করিম, শামীম হাওলাদার ও ছোট্ট শিশু (৯) সাদিয়া সহ প্রায় ১১ জন আহত হয়। ওই সময় সেনা সদস্য আবদুর রহিমও গুরুতর আহত হন।

দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই সময় তারা ৬ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে রিনা. শিরীন ও শহীদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এব্যাপারে আবদুর রহিম জানান, তারা আওয়ামী দোষর, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। আমি আমার পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি রক্ষার জন্য দখলে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে আমাকে গুরুতর জখম করে।

বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।