১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দশমিনায় ইউপি সদস্যের উস্কানিতে নৌ-পুলিশকে ধাওয়া

অন্তর দাস, দশমিনা, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় অভিযান পরিচালনাকালে এক ইউপি সদস্যের ইন্ধনে তার অনুসারীরা নৌপুলিশকে ধাওয়া করার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূণী গ্রামের বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে একই এলাকার ০৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন ৩-৪টি অবৈধ বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরায়। নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ওই ইউপি সদস্য কয়েকজন স্থানীয় জেলেকে দিয়ে অবৈধ বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরিয়ে আসছে। এতে অজস্র পরিমাণে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে ওই ইউপি সদস্যের উস্কানিতে দুটি ট্রলারে করে অর্ধশতাধিক লোক তাদের ধাওয়া করে। নৌ-পুলিশের জনবল কম থাকায় তারা জাল ছেড়ে চলে আসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক জেলে বলেন, আমরা নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারিনা বাঁধা জালের কারনে। জোয়ার ভাটায় আমাদের জাল ওই অবৈধ বাঁধা জালের উপর উঠে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমাদের ইউপি সদস্যের দাপটে এবং তার ছত্রছায়ায় তিনটি অবৈধ বাঁধা জাল ফেলে রাখে। আমরা নিরুপায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যকে বললে তিনি হুমকি-ধামকি দেন। আজ নদীতে অবৈধ জাল অপসারনে নৌ-পুলিশ অভিযান চালালে আমাদের ইউপি সদস্য তাদের সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের তাড়াতে হুকুম দেয়।

বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন বলেন, “আমি বাজারে ছিলাম। ঘটনা শুনে নদীর পাড়ে আসি। এসে দেখি অনেক লোক। নদীতে নৌ-পুলিশ জাল টানছে। আমি কাউকে উস্কানি দেইনি। নৌপুলিশকে ফোন করেছি জনপ্রতিনিধি হিসাবে।”

দশমিনা নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল জানান, “তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ রাক্ষুসে বাঁধা জাল অপসারনে অভিযান পরিচালনা করলে চরঘূনী নদীতে তিনটি অবৈধ বাঁধা জালে একই সাথে মাছ ধরতে দেখে জাল উঠানোর চেষ্টা করলে অসংখ্য জেলেরা আমাদের ধাওয়া দেয়। তাৎক্ষণিক আমরা ওই স্থান থেকে চলে আসি। জাল উঠানোর সময় চরঘূণীর ইউপি সদস্য মোশারেফ আমাকে ফোন করে জাল রেখে যেতে বলে। আমি তার কথা শুনি নাই। তার পরই দুটি ট্রলার অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে আমাদের দিকে আসে। আমরা জাল রেখে চলে আসি। অবৈধ বাঁধা জাল যারা নদীতে ফেলে এবং এতে যারা সহযোগিতা করে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না সে যতই শক্তিশালী হোক।”

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে ৩,৫৭০ কেজি জাটকা জব্দ; দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ

error: Content is protected !!

দশমিনায় ইউপি সদস্যের উস্কানিতে নৌ-পুলিশকে ধাওয়া

আপডেট সময়: ০৯:৫৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর দাস, দশমিনা, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় অভিযান পরিচালনাকালে এক ইউপি সদস্যের ইন্ধনে তার অনুসারীরা নৌপুলিশকে ধাওয়া করার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূণী গ্রামের বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে একই এলাকার ০৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন ৩-৪টি অবৈধ বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরায়। নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ওই ইউপি সদস্য কয়েকজন স্থানীয় জেলেকে দিয়ে অবৈধ বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরিয়ে আসছে। এতে অজস্র পরিমাণে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে ওই ইউপি সদস্যের উস্কানিতে দুটি ট্রলারে করে অর্ধশতাধিক লোক তাদের ধাওয়া করে। নৌ-পুলিশের জনবল কম থাকায় তারা জাল ছেড়ে চলে আসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক জেলে বলেন, আমরা নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারিনা বাঁধা জালের কারনে। জোয়ার ভাটায় আমাদের জাল ওই অবৈধ বাঁধা জালের উপর উঠে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমাদের ইউপি সদস্যের দাপটে এবং তার ছত্রছায়ায় তিনটি অবৈধ বাঁধা জাল ফেলে রাখে। আমরা নিরুপায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যকে বললে তিনি হুমকি-ধামকি দেন। আজ নদীতে অবৈধ জাল অপসারনে নৌ-পুলিশ অভিযান চালালে আমাদের ইউপি সদস্য তাদের সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের তাড়াতে হুকুম দেয়।

বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন বলেন, “আমি বাজারে ছিলাম। ঘটনা শুনে নদীর পাড়ে আসি। এসে দেখি অনেক লোক। নদীতে নৌ-পুলিশ জাল টানছে। আমি কাউকে উস্কানি দেইনি। নৌপুলিশকে ফোন করেছি জনপ্রতিনিধি হিসাবে।”

দশমিনা নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল জানান, “তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ রাক্ষুসে বাঁধা জাল অপসারনে অভিযান পরিচালনা করলে চরঘূনী নদীতে তিনটি অবৈধ বাঁধা জালে একই সাথে মাছ ধরতে দেখে জাল উঠানোর চেষ্টা করলে অসংখ্য জেলেরা আমাদের ধাওয়া দেয়। তাৎক্ষণিক আমরা ওই স্থান থেকে চলে আসি। জাল উঠানোর সময় চরঘূণীর ইউপি সদস্য মোশারেফ আমাকে ফোন করে জাল রেখে যেতে বলে। আমি তার কথা শুনি নাই। তার পরই দুটি ট্রলার অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে আমাদের দিকে আসে। আমরা জাল রেখে চলে আসি। অবৈধ বাঁধা জাল যারা নদীতে ফেলে এবং এতে যারা সহযোগিতা করে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না সে যতই শক্তিশালী হোক।”