মো. রিয়াজুল ইসলামঃ 
মো: রিয়াজুল ইসলাম: পটুয়াখালীর দুমকীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো: কাজেম আলী বিশ্বাস (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দেশীয় রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী সাইদুল ইসলাম (৩২) এর বিরুদ্ধে। অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই মামুন হামলার শিকার হয়েছেন। যদিও সাইদুল ইসলামের প্রতি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে নূরানী মাদ্রসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সুলতান হাওলাদারের ছেলে এবং ভুক্তভোগী কাজেম আলী বিশ্বাস একই ওয়ার্ডের মৃত. শের আলী বিশ্বাসের ছেলে।
সূত্র জানায়, কাজেম আলী বিশ্বাসের বাড়িতে ওয়ারিশান জমিতে একটি পুরাতন ঘরে বসবাস করতেন জাহাঙ্গীর মৃধা। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালে ঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সকাল ৮টার দিকে জাহাঙ্গীর মৃধা ওই ঘরটি মেরামত করতে মিস্ত্রি আনেন। কিন্তু ওই বাড়িতে জাহাঙ্গীর মৃধা কোন জমি পাবে না এমন দাবী করে কাজেম আলী বিশ্বাসের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডতা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে বোর্ড অফিস বাজারের কাছাকাছি নূরানী মাদ্রাসার সামনে জাহাঙ্গীর মৃধা’র শ্যালক অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কাজেম আলী বিশ্বাসকে জখম করেন। এসময় সাইদুল ইসলাম নিজেও আহত হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উভয়কেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে দুপুর ১টার দিকে কাজেম আলী বিশ্বাসের লোকজন সাইদুল ও তার চাচাতো ভাই মামুনের ওপর হামলা করেন।
অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম বলেন, “আমার দুলা ভাইয়ের সাথে কাজেম আলী বিশ্বাসের জমিজমার মামলা উচ্চ আদালতে চলমান। শুধু তাই নয় আমার বাবা নিজেও ওই বাড়িতে জমি পাবেন।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জহিরুল হক বলেন, “তাদের মাঝে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে এবং কাজেম আলী বিশ্বাসের পক্ষে আদালতের রায় আছে।”
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, “ওই বাড়িতে দীর্ঘদিনের পুরনো একটি ঘর জাহাঙ্গীর মৃধা’র রয়েছে। সেটি মেরামত করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডতা হয়েছে। কিন্তু পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।”
জানতে চাইলে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান সাউথ বিডি নিউজ ২৪-কে বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
