০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুমকীতে জমিজমার বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ

মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকীতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোন শিক্ষিকা রোজিনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহারের (নাজমা) বিরুদ্ধে। তবে ঝগড়াঝাঁটি মিমাংসা করতে গিয়ে উল্টো হামলার স্বীকার হয়েছেন এমন দাবি করেন অভিযুক্ত মজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পাতাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মো: মেনহাজ হাওলাদারের ছেলে মো. মাসুদ হোসেনের স্ত্রী এবং অপর ভুক্তভোগী রোজিনা আক্তার সম্পর্কে মাসুদ হোসেনের শ্যালিকা। তারা উভয়ই উপজেলার জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

অভিযুক্ত মজিবুর রহমান উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত. ইউনুস আলী হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা’র স্বামী। পেশায় মজিবুর রহমান একটি সেনা ক্যান্টনমেন্টের বাবুর্চি।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে অভিযুক্ত নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা চাচতো ভাই মাসুদ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার বোন রোজিনা আক্তারের সাথে জমিজমার বিরোধে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। পরে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজমা ভুক্তভোগীদের বসত বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তিতে মাসুদ হোসেনের ২ ভাই ও ২ ভাতিজা মজিবর রহমানকে ধাওয়া করে প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের রান্না ঘরে একা পেয়ে মজিবুর রহমানকে মারধর করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মালা বেগম বলেন, আমার স্বামীর নাম ধরে সাবিনা ও রোজিনা ডাক চিৎকার করে। ঘটনা স্থলে গিয়ে আমি দেখি ব্যাড়ের পানি ঘোলা, জুতা ও ওড়না পানিতে ভাসতেছিলো। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, নাজমুন নাহার নাজমা’র কোন ভাই বোন নেই। তার বাবা জীবিত থাকতেই ব্রাদারি ভাগ তার ভাইয়ের ছেলেদের লিখে দিয়েছিলেন। সেগুলো হয়ত এখন নাজমুন ফেরত চায় এবং তাদের মাঝে মামলা মোকদ্দমা ও সালিশ চলমান রয়েছে।

জানতে চাইলে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর জানান, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত থানায় যারা অভিযোগ করেছেন তারাই মারধর করেছে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন, পরীক্ষা বন্ধ, অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন 

error: Content is protected !!

দুমকীতে জমিজমার বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময়: ০৩:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকীতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোন শিক্ষিকা রোজিনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহারের (নাজমা) বিরুদ্ধে। তবে ঝগড়াঝাঁটি মিমাংসা করতে গিয়ে উল্টো হামলার স্বীকার হয়েছেন এমন দাবি করেন অভিযুক্ত মজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পাতাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মো: মেনহাজ হাওলাদারের ছেলে মো. মাসুদ হোসেনের স্ত্রী এবং অপর ভুক্তভোগী রোজিনা আক্তার সম্পর্কে মাসুদ হোসেনের শ্যালিকা। তারা উভয়ই উপজেলার জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

অভিযুক্ত মজিবুর রহমান উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত. ইউনুস আলী হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা’র স্বামী। পেশায় মজিবুর রহমান একটি সেনা ক্যান্টনমেন্টের বাবুর্চি।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে অভিযুক্ত নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা চাচতো ভাই মাসুদ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার বোন রোজিনা আক্তারের সাথে জমিজমার বিরোধে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। পরে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজমা ভুক্তভোগীদের বসত বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তিতে মাসুদ হোসেনের ২ ভাই ও ২ ভাতিজা মজিবর রহমানকে ধাওয়া করে প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের রান্না ঘরে একা পেয়ে মজিবুর রহমানকে মারধর করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মালা বেগম বলেন, আমার স্বামীর নাম ধরে সাবিনা ও রোজিনা ডাক চিৎকার করে। ঘটনা স্থলে গিয়ে আমি দেখি ব্যাড়ের পানি ঘোলা, জুতা ও ওড়না পানিতে ভাসতেছিলো। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, নাজমুন নাহার নাজমা’র কোন ভাই বোন নেই। তার বাবা জীবিত থাকতেই ব্রাদারি ভাগ তার ভাইয়ের ছেলেদের লিখে দিয়েছিলেন। সেগুলো হয়ত এখন নাজমুন ফেরত চায় এবং তাদের মাঝে মামলা মোকদ্দমা ও সালিশ চলমান রয়েছে।

জানতে চাইলে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর জানান, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত থানায় যারা অভিযোগ করেছেন তারাই মারধর করেছে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”