এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে পুলিশ দেখে ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া সেই রাসেল খান (৩৫) নামে যুবকের নিখোঁজের তিনদিন পরে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর-২৫) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বজনরা উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর বাতিঘর পয়েন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন।
জানা যায়, গত শনিবার (১১ অক্টোবর-২৫) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর কচুয়া এলাকায় পুলিশের স্পিডবোড দেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে রাসেল খান নিখোঁজ হন। সোমবার (১৩ অক্টোবর-২৫) শেষ বিকেল পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার অভিযান করলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মৃত রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ খানের ছেলে। রাসেল পেশায় দরজি।
ট্রলারচালক মো. রাকিবের (৩৫) এর ভাষ্যমতে, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁরা চারজন নদী থেকে ইলিশ মাছ কিনে ট্রলারে করে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কচুয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে পুলিশের স্পিডবোড আসতে দেখে রাসেল নদীতে ঝাঁপ দেন। অন্য দুজন লাফ দিয়ে পাশের খেয়া পারাপারের ট্রলারে ওঠেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু রাসেলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আল মামুন বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার অভিযোগে পুলিশের টহল টিম তেঁতুলিয়া নদীর চরওয়াডেল এলাকা থেকে তিন জেলেকে আটক করেছিল। উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরসহ তিন পুলিশ সদস্য স্পিডবোটে করে ওই তিনজনকে ফাঁড়িতে পৌঁছে দেন। পুলিশ সদস্যরা আবার স্পিডবোটে করে ফিরে যাচ্ছিলেন। তখন স্পিডবোট দেখে রাসেল নদীতে ঝাঁপ দেন।
তিনি আরও বলেন, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সহ স্বজনরা ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তবে ময়নাতদন্ত করা হয়নি। পরিবাররা একটা লিখিত দিয়ে লাশ দাফন করেছেন।”