জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদক: বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ তিনদফা দাবীতে পটুয়াখালীতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত ২৯৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচ শতাধিক কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারিদের কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালীর বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হলেও শ্রেনীকক্ষে শিক্ষকদের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকরা পাঠদান না করে, তারা তাদের টিচার্স রুমে বসে আছেন। কর্মবিরতি পালনকালে আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষক, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত শিক্ষকদের উপর হামলা করে অমানবিক নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবী মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা বৃদ্ধি করা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানো দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মবিরতি চলবে।”
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮ টি উপজেলায় এমপিওভুক্ত ২৯৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৬৬ টি মাদরাসা ও ৬১ টি কলেজ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় দুই একটি মাধ্যমিক স্কুলে শ্রেনী কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শবনব মোস্তারি পিরু জানান, “আমি জেলা শিক্ষক সমিতির (সালাম ভুঁইয়া) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কর্মবিরতি পালন করতে পারি না।”
অপর এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, “ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর অমানবিক নির্যাতন করায় আমরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মবিরতি কর্মসূচীতে একাত্মতা জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।”