সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্ক: র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ও অস্থায়ী র্যাব ক্যাম্প ভোলা কর্তৃক কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার রাশেদ ও লেফটেন্যান্ট রিফাত এর নেতৃত্বে যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৪ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ০৫:২০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তের নিজ বসত বাড়ি ভোলা জেলার সদর থানাধীন দক্ষিণ দিঘলদী এলাকা হইতে ডাকাতি মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অভিযুক্ত (ডাকাত সরদার) মোঃ কামাল হোসেন (৩৭) পিতা-মোখলেছুর রহমান, সাং দক্ষিন দিঘলদী, থানা ও জেলা-ভোলা সদর”কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মোঃ শহিদুল মাতুব্বর (৫৮) পেশায় একজন তরমুজ চাষী। তার চাষকৃত তরমুজ কাটিয়া গত ইং ১৪/০৩/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় ১নং সাক্ষীর ট্রলারে কপালবেড়া ৯নং ওয়ার্ড ক্লোজার ঘাট হইতে তরমুজ বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে ইং ১৫/০৩/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় বাউফল থানাধীন নাজিরপুর ইউপির নিমদী ৩নং ওয়ার্ড সাকিনে নিমদী লঞ্চঘাট হইতে আনুমানিক ৩০০ ফিট উত্তর দিকে তেতুলিয়া নদীতে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্র, লাঠিসোটাসহ আক্রমন করে। অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা তাদেরকে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলাফুলা জখম করিয়া আনুমানিক ১০,০০০ পিচ তরমুজ মুল্য অনুঃ ১৫,০০,০০০/- টাকাসহ ট্রলারটি তাদের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার চেষ্টা করে। অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়া বাদীর মাথায় কোপ দিয়া গুরুতর জখম করে । বাদী ও স্বাক্ষীরা ০১ জন ডাকাতকে ট্রলারে আটকে ফেলে। পরবর্তীতে বাউফল থানাধীন ধূলিয়া ইউপির ধূলিয়া লঞ্চঘাটের কাছাকাছি আসিলে বাদী ও সাক্ষীরা ডাকচিৎকার করিলে অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল তাহাদের ট্রলারটি নিয়া পূর্ব দিকে পালিয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বয়স অনুমান ৩৫ থেকে ৪০ বছর। পরবর্তীতে বাদী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য ভোলা জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।