এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালী: শনিবার (২৩ আগস্ট-২৫) সকালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নায়ায়নপাশা গ্রামের স্লুইস গেটের পাশে খালে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া লাশটি নিখোঁজ কিশোরী উর্মি আক্তার (১৪) এর মৃত্যু নিয়ে বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। থানা পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে উর্মীর বাবা নজরুল বয়াতি ও মা আমেনা বেগম সহ দুলাভাই কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট-২৫) দিবাগত রা‌তে ওই বাবা, মা ও দুলাভাইকে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবা‌দে স্বীকা‌রো‌ক্তি দেয় তারা। বুধবার সকালে তা‌দের‌কে জেল হাজ‌তে প্রেরণ করা হয়।

পু‌লিশ সূ‌ত্রে জানা‌ গে‌ছে, গত ২১ আগষ্ট রাত দেড়টার দি‌কে নি‌খোজ নাটক ক‌রে ঊর্মীর প‌রিবার। প‌রে ২‌দিন পর শ‌নিবার সকাল ৮টায় পা‌শের কুম্ভখালী খাল থে‌কে তার মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মে‌য়ের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হ‌য়ে একই দিন রা‌তে বাউফল থানায় অ‌ভি‌যোগ দা‌য়ের ক‌রেন। কিন্তু পু‌লিশি নজ‌রে থা‌কেন মে‌য়ের মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়া‌তি ও দুলাভাই কামাল হো‌সেন (৩২)।

অব‌শে‌ষে ঘটনার ৬দিন পর রহস‌্য উদঘাটন কর‌তে সক্ষম হয় পু‌লিশ। মঙ্গলবার রাতে তা‌দে‌রকে জিজ্ঞাসাবা‌দের জন‌্য তিন জন‌কে আটক ক‌রে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌লে ঘটনার সত‌্যতা স্বীকার ক‌রে ওই তিন ব‌্যক্তি। প‌রে বুধবার সকা‌লে তা‌দের ৩ জন‌কে জেল হাজ‌তে প্রেরণ করা হয়।

মে‌য়ে উর্মীর প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবার জানলে নিখোঁজের দিন রাত দেড়টার দি‌কে মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল ও দুলাভাই কামাল মি‌লে ঊর্মী‌কে ব‌্যাপক মারধর ক‌রে। এক পর্যা‌য়ে শ্বাসরোধ করে হত‌্যার পর উর্মী‌কে পা‌শের খালে ফে‌লে দেয়া হয় এবং নিজেদেরকে বাচাতে নাটক সাজানো হয়।

বাউফল থানার ও‌সি আকতারুজ্জামান সরকার ব‌লেন, ঘটনার পর থে‌কে ওই তিনজনই আমা‌দের স‌ন্দেহের তা‌লিকায় ছি‌লেন। প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে তারা দায় স্বীকার ক‌রে‌ছেন।