০২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলীপুর মৎস আড়তের চাঞ্চল্যকর হ*ত্যাকা*ন্ডের অন্যতম পলাতক আসামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতার

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্ক: র‌্যাব-৮ সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প ও র‌্যাব-৬, সদর ব্যাটালিয়ান কর্তৃক যৌথ অভিযানে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ৬:৫ মিনিটে পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ট্রলার মালিক দ্বারা জেলে হত্যার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ শুকুর(৫২) পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন খান মাতা- মৃত ফুলজান বিবি সাং উত্তর ছোট মাছুয়া, তুষখালি ইউনিয়ন, থানা মঠবাড়িয়া জেলা পিরোজপুর’কে বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কলাবাড়িয়া গ্রামস্থ গোলাম মোস্তফা খাঁ এর বসত বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদী শেফালী বেগম চাঁনফুল (৪৫), স্বামী- মোঃ হারুন পেশায় গৃহীনি। বাদীর একমাত্র ছেলে মোঃ হেলাল প্রায় ০২ (দুই) মাস যাবৎ ০১নং ও ০২নং বিবাদীদের মালিকানাধীন তামান্না ফিসিং বোট নামক ট্রলারে জেলের কাজ করে। গত ০৪/০৯/২০২৫ইং বৃহস্পতিবার সকালে সাগরে যাওয়ার জন্য ০১নং বিবাদী মন্টু ফরাজীর মালিকানাধীন ট্রলারটি প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু ভিকটিম সহ অন্য দুই জেলে মঠবাড়িয়া থেকে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসতে দেরি করেন। রাত ৯টার পর তারা এসে পৌঁছালে দেরি করার অজুহাতে তাদেরকে মন্টু ফরাজীর নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করেন মালিক পক্ষের লোকজন। এতে ভিকটিম সহ অন্যান্য স্বাক্ষীগণ মারাত্বক গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ০২নং স্বাক্ষী প্রাণ ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে জীবন রক্ষা করে। বিবাদীগণ রক্তাক্ত জখমী ভিকটিমদের চিকিৎসা প্রদান না করিয়া তাদেরকে মাঝ নদীতে নিয়া যায় এবং ভয় ভীতি প্রদর্শন করিয়া কারো সাথে যোগাযোগ না করার জন্য বলে। কিন্তু এতে মারাত্বক জখমী ভিকটিম হেলালের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ০১ নং স্বাক্ষীর অনুনয় বিনয় করলে আসামীগণ বোটটি নদীর তীরে নিয়া আসে। পরে ০১নং স্বাক্ষী ভিকটিমকে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়া যায়। পরে অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কলাপাড়া রেফার করিলে ০১নং স্বাক্ষী ভিকটিম হেলালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কলাপাড়া নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে বাদী ০১নং স্বাক্ষীর মাধ্যমে তাহার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পাইয়া হাসপাতালে আসে । ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন যা মহিপুর থানার মামলা নং-০৩ তারিখ ০৫/০৯/২০২৫ইং ধারা-৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

উক্ত ঘটনার ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প ও র‌্যাব-৬, সদর ব্যাটালিয়ান কর্তৃক যৌথ অভিযানে ০৮/০৯/২০২৫ইং তারিখ ১৮০৫ ঘটিকায় পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ট্রলার মালিক দ্বারা জেলে হত্যার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ শুকুর(৫২) পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন খান মাতা- মৃত ফুলজান বিবি সাং উত্তর ছোট মাছুয়া, তুষখালি ইউনিয়ন, থানা মঠবাড়িয়া জেলা পিরোজপুর’কে বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কলাবাড়িয়া গ্রামস্থ গোলাম মোস্তফা খাঁ এর বসত বাড়ি হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য বাগেরহাট সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...
জনপ্রিয়

জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে পটুয়াখালীর টাউন বহালগাছিয়া সঃ প্রাঃ স্কুলে চিত্রাংকন ও স্কুল ফিডিং অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!

আলীপুর মৎস আড়তের চাঞ্চল্যকর হ*ত্যাকা*ন্ডের অন্যতম পলাতক আসামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতার

আপডেট সময়: ০৩:২৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্ক: র‌্যাব-৮ সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প ও র‌্যাব-৬, সদর ব্যাটালিয়ান কর্তৃক যৌথ অভিযানে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ৬:৫ মিনিটে পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ট্রলার মালিক দ্বারা জেলে হত্যার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ শুকুর(৫২) পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন খান মাতা- মৃত ফুলজান বিবি সাং উত্তর ছোট মাছুয়া, তুষখালি ইউনিয়ন, থানা মঠবাড়িয়া জেলা পিরোজপুর’কে বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কলাবাড়িয়া গ্রামস্থ গোলাম মোস্তফা খাঁ এর বসত বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদী শেফালী বেগম চাঁনফুল (৪৫), স্বামী- মোঃ হারুন পেশায় গৃহীনি। বাদীর একমাত্র ছেলে মোঃ হেলাল প্রায় ০২ (দুই) মাস যাবৎ ০১নং ও ০২নং বিবাদীদের মালিকানাধীন তামান্না ফিসিং বোট নামক ট্রলারে জেলের কাজ করে। গত ০৪/০৯/২০২৫ইং বৃহস্পতিবার সকালে সাগরে যাওয়ার জন্য ০১নং বিবাদী মন্টু ফরাজীর মালিকানাধীন ট্রলারটি প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু ভিকটিম সহ অন্য দুই জেলে মঠবাড়িয়া থেকে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসতে দেরি করেন। রাত ৯টার পর তারা এসে পৌঁছালে দেরি করার অজুহাতে তাদেরকে মন্টু ফরাজীর নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করেন মালিক পক্ষের লোকজন। এতে ভিকটিম সহ অন্যান্য স্বাক্ষীগণ মারাত্বক গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ০২নং স্বাক্ষী প্রাণ ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে জীবন রক্ষা করে। বিবাদীগণ রক্তাক্ত জখমী ভিকটিমদের চিকিৎসা প্রদান না করিয়া তাদেরকে মাঝ নদীতে নিয়া যায় এবং ভয় ভীতি প্রদর্শন করিয়া কারো সাথে যোগাযোগ না করার জন্য বলে। কিন্তু এতে মারাত্বক জখমী ভিকটিম হেলালের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ০১ নং স্বাক্ষীর অনুনয় বিনয় করলে আসামীগণ বোটটি নদীর তীরে নিয়া আসে। পরে ০১নং স্বাক্ষী ভিকটিমকে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়া যায়। পরে অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কলাপাড়া রেফার করিলে ০১নং স্বাক্ষী ভিকটিম হেলালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কলাপাড়া নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে বাদী ০১নং স্বাক্ষীর মাধ্যমে তাহার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পাইয়া হাসপাতালে আসে । ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন যা মহিপুর থানার মামলা নং-০৩ তারিখ ০৫/০৯/২০২৫ইং ধারা-৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

উক্ত ঘটনার ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প ও র‌্যাব-৬, সদর ব্যাটালিয়ান কর্তৃক যৌথ অভিযানে ০৮/০৯/২০২৫ইং তারিখ ১৮০৫ ঘটিকায় পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ট্রলার মালিক দ্বারা জেলে হত্যার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ শুকুর(৫২) পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন খান মাতা- মৃত ফুলজান বিবি সাং উত্তর ছোট মাছুয়া, তুষখালি ইউনিয়ন, থানা মঠবাড়িয়া জেলা পিরোজপুর’কে বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কলাবাড়িয়া গ্রামস্থ গোলাম মোস্তফা খাঁ এর বসত বাড়ি হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য বাগেরহাট সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।