• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে বিয়ে নিয়ে কথা কা*টাকা*টি; সংঘ*র্ষে নিহ*ত-১; গ্রে*ফতার-১

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বিয়ের আলাপকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষে বারেক ফকির (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। শনিবার (৩ মে) জোহরের নামাজ শেষে মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে হামলার ঘটনা ঘটলে রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ মে) দুপুরে নামাজ শেষে আজহার খানের বড় ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ের বিষয়ে নিয়ে মেয়ে পক্ষের পরিবার বারেক ফকিরের কাছে জানতে চান। তিনি শান্তভাবে উত্তর দিলেও রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে উপুরযপরিকিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় রহমানের ভাই আরিফও লাঠি ও রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন বারেক ফকিরকে।

ওই দিন দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রেফার করেন। বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থা আরও অবনতির দিকে গেলে তাকে রবিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে বাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিকেল ৫টার দিকে বারেক ফকির মারা যান।

নিহতের ছেলে সুমন ফকির বলেন, “আমার বাবা একজন সৎ ও নিরীহ মানুষ ছিলেন। শুধু একটি বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে রহমান ও তার ভাই আরিফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা অমানবিক ও পরিকল্পিত। আমরা তাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না, পথেই তিনি মারা যান। আমি একজন সন্তান হয়ে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেন এমন মৃত্যু আর কোনো পরিবারকে দেখতে না হয়।”

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজহার খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর পড়ুন: