• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

“বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যত হামলা, ধর্মীয় উগ্রবাদের কারনে নয়, রাজনৈতিক কারনে ঘটেছে”- ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “বহিঃবিশ্ব বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যতগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে তার একটিও ধর্মীয় উগ্রবাদের কারনে ঘটেনি, রাজনৈতিক কারনে ঘটেছে। বিপ্লবের পরে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। ৫ আগষ্টের পরে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় ৯৩ টি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। যারা এ অধিকার ক্ষুন্ন করতে চায় তাদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।”

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাথে মতবিনিময সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ধর্ম উপদেষ্ঠা আরো বলেন, “বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে অথচ তাদের দেশেই সংখ্যালঘুদের কচুকাটা করা হচ্ছে। তাদের উপসনালয়ের নীচ থেকে শিবলিঙ্গ আবিস্কার করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “সংস্কার শেষ হলে আমরা একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। একটি সমাজ গঠনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিনগন যথাযথ ভুমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। তাই তাদের বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। দুইটি উৎসব বোনাস প্রদানে ধর্ম মন্ত্রনালয় কাজ করছে। এছাড়া মসজিদের জন্যও নীতিমালা করা হচ্ছে।”

জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক আসমা আখতার এর সভাপতিত্বে ও মাস্টার ট্রেইনার মো. আব্দুল হালিমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, পুলিশ সুপার মো.আনোয়ার জাহিদ, বোর্ড অব গভর্নরস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য অধ্যক্ষ মাওঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বোর্ড অব গভর্নরস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য অধ্যক্ষ মাওঃ শাহ মো. নেছারুল হক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মুহা. জাকির হোসাইন প্রমুখ। এ সময় জেলার দুইশতাধিক মসজিদের খতিব-ইমাম, মুয়াজ্জিনগন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্ঠা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নিজেই দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।


আরও খবর পড়ুন: