০৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পালিত হবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় এ উৎসবকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আগামী ৯ অক্টবর মহা ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ১২ অক্টোবর মহা দশমী শেষে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। এদিকে উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পূজার প্রস্তুতি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটু্যাখালীতে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। প্রতিমা তৈরীর মূলকাজ শেষে ব্যস্ততায় রয়েছেন সৌন্দর্য বর্ধনে। মাটির প্রলেপ দিয়ে পরতে পরতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সৌন্দর্য। কদিন পরেই রং-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করা হবে প্রতিমার মোহনীয় আবয়ব। এক কথায় জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি, রং, তুলি ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কাজে ভাস্কর্য শিল্পীরা। ইতিমধ্যে কয়েকটি পুঁজা মন্ডপে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়ে রঙের কাজ শেষের দিকে। দেবী দুর্গা মায়ের অপার কৃপা লাভের আশায় মুগ্ধ ভক্তরা আবার এই শিল্পীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, আপ্যায়ন যত্নাদি করতেও ভুল করছেন না কেউ কেউ।

পটুয়াখালী জেলার পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সঞ্জয় কুমার খাসকেল বলেন, পটুয়াখালী জেলায় মোট ১৭৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৬টি, বাউফলে ৬৫টি, দশমিনায় ১৩টি, দুমকিতে ১০টি, গলাচিপায় ২৮টি, কলাপাড়ায় ১৪টি, মির্জাগঞ্জে ১৫টি এবং রাঙ্গাবালীতে ৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পটুয়াখালী জেলার সাধারণ মানুষ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকলেই শারদীয় দুর্গা উৎসবের আমেজ উপভোগ করে আসছি। আমরা উৎসবকে উৎসবমুখর করার জন্য ইতিমধ্যে পটুয়াখালী জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, সুযোগ্য পুলিশ সুপার এবং ডি.আই.জি মহোদয়ের সাথে সভা করেছি।পটুয়াখালী জেলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং পূজার প্রস্তুতি খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পটুয়াখালী জেলার পূজার সার্বিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জনগনের পাশে আছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মন্ডপে আনসার সদস্য ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে থাকবে।এছাড়াও রাস্তায় সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম।

পটুয়াখালী র‍্যাব- ৮ সিপিসি -১ লে. কমান্ডার মো. মুহতাসিন রসূল বলেন, আমরা পূজার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আমাদের একাধিক ফোর্স নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে আমাদের বাহিনীর সদস্যরা পূজামন্ডপ ও আশেপাশের এলাকায় নজরদারী করবে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত।

এবার পৃথিবীতে দশভুজার (দেবী দুর্গা) আগমন দোলায় চড়ে আর আনুষ্ঠিকতা শেষে কৈলাশে ফিরবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে। ধর্মীয় পঞ্জিকা মতে ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হয়। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী ও ১২ অক্টোবর মহাদশমীর বিহিত পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবছর শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে ৩,৫৭০ কেজি জাটকা জব্দ; দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ

error: Content is protected !!

পটুয়াখালীতে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা

আপডেট সময়: ০৪:৩৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পালিত হবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় এ উৎসবকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আগামী ৯ অক্টবর মহা ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ১২ অক্টোবর মহা দশমী শেষে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। এদিকে উৎসবের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পূজার প্রস্তুতি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটু্যাখালীতে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। প্রতিমা তৈরীর মূলকাজ শেষে ব্যস্ততায় রয়েছেন সৌন্দর্য বর্ধনে। মাটির প্রলেপ দিয়ে পরতে পরতে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সৌন্দর্য। কদিন পরেই রং-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করা হবে প্রতিমার মোহনীয় আবয়ব। এক কথায় জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাটি, রং, তুলি ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কাজে ভাস্কর্য শিল্পীরা। ইতিমধ্যে কয়েকটি পুঁজা মন্ডপে প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়ে রঙের কাজ শেষের দিকে। দেবী দুর্গা মায়ের অপার কৃপা লাভের আশায় মুগ্ধ ভক্তরা আবার এই শিল্পীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, আপ্যায়ন যত্নাদি করতেও ভুল করছেন না কেউ কেউ।

পটুয়াখালী জেলার পূজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সঞ্জয় কুমার খাসকেল বলেন, পটুয়াখালী জেলায় মোট ১৭৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৬টি, বাউফলে ৬৫টি, দশমিনায় ১৩টি, দুমকিতে ১০টি, গলাচিপায় ২৮টি, কলাপাড়ায় ১৪টি, মির্জাগঞ্জে ১৫টি এবং রাঙ্গাবালীতে ৫টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পটুয়াখালী জেলার সাধারণ মানুষ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সকলেই শারদীয় দুর্গা উৎসবের আমেজ উপভোগ করে আসছি। আমরা উৎসবকে উৎসবমুখর করার জন্য ইতিমধ্যে পটুয়াখালী জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, সুযোগ্য পুলিশ সুপার এবং ডি.আই.জি মহোদয়ের সাথে সভা করেছি।পটুয়াখালী জেলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং পূজার প্রস্তুতি খুবই ভালো। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পটুয়াখালী জেলার পূজার সার্বিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জনগনের পাশে আছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মন্ডপে আনসার সদস্য ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে থাকবে।এছাড়াও রাস্তায় সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম।

পটুয়াখালী র‍্যাব- ৮ সিপিসি -১ লে. কমান্ডার মো. মুহতাসিন রসূল বলেন, আমরা পূজার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আমাদের একাধিক ফোর্স নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে আমাদের বাহিনীর সদস্যরা পূজামন্ডপ ও আশেপাশের এলাকায় নজরদারী করবে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে আমরা প্রস্তুত।

এবার পৃথিবীতে দশভুজার (দেবী দুর্গা) আগমন দোলায় চড়ে আর আনুষ্ঠিকতা শেষে কৈলাশে ফিরবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে। ধর্মীয় পঞ্জিকা মতে ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হয়। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী ও ১২ অক্টোবর মহাদশমীর বিহিত পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবছর শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।