জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আবদুল করিম মৃধা কলেজের (একেএম) অধ্যক্ষ সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন বাহার স্বপদে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ ১৬বছর পর নিজ প্রতিষ্ঠানে আসেন। রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইডের ছেলে মেয়েরা কলেজ গেট থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরন করে নেন তাকে। প্রফেসর সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন বাহারকে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পেয়ে আনন্দিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ এলাকাবাসী।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে স্বপদে আগমন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। ব্যবস্থাপানা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহম্মদ আলমগীর হোসেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজমুল আলম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক গৌতম কুমার দাস, সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেলোয়ার জাহান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসিমা শাহিন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফারুক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: নাসির উদ্দিন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জহিরুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরি মালাকার।
অধ্যক্ষ সাইফুল মজিদ মোঃ বাহাউদ্দিন তার দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ন্যায়নিষ্ঠা ও সততার মধ্য দিয়ে আদর্শ কলেজে রূপান্তরিত করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ সাইফুল মজিদ মো: বাহাউদ্দিন বাহার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে নিজের এলাকার মাটি ও মানুষের সেবার অভিপ্রায়ে ১৯৯২সালে আবদুল করিম মৃধা কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। একজন মেধাবী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষক পরিষদ ও গর্ভনিং বডিসহ কলেজের সার্বিক বিষয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০০৬ সালে কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে কলেজে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে তিনটি বছর করিম মৃধা কলেজের ইতিহাসে এক স্বর্নালী অধ্যায় রচিত হয়েছিল। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, সর্বোচ্চ ভর্তি, ভালো ফলাফলের জন্য তৎকালিন সময়ে দক্ষিনাঞ্চলে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাজাহান মিয়া ২০০৯ সালের ১২ জুলাই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাকে সাসপেনশন করা হয়। দীর্ঘ ১৬টি বছর প্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে দূরে থাকতে হয়েছে। গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ১১টায় কলেজের বর্তমান সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলমের সভাপতিত্বে গর্ভনিং বডির সভায় সাসপেনসন প্রত্যাহার করে নিলে ওইদিন জেলা প্রশাসকের নিকট স্বপদে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।