• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

দুমকিতে পরিকল্পিত ফাঁদে ফেসে গেলেন চেয়ারম্যান মর্তুজা

মোঃ হেলাল আহমেদ রিপন, পটুয়াখালীঃ / ৭১৪ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

মোঃ হেলাল আহমেদ রিপন, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে পড়ে হেনস্তার শিকার উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর।

গত শনিবার সকালে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণের লক্ষ্যে পাতাবুনিয়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে চাল ছাড়িয়ে জেলেদের অনুরোধে চেয়ারম্যান বাড়ির একটি ঘরে সাড়ে ১৭ টন চাল মজুদ করেন এবং সাথে সাথে চৌকিদার দিয়ে সকল সুবিধাভোগী জেলেদের পরের দিন চাল দেয়া হবে এই মর্মে দাওয়াত দেয়া হয়। হঠাৎ করে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী উপস্থিত হন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করেন এবং কেনো চাল পরিষদে না নিয়ে তার বাড়িতে তুলেছেন এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান তার প্রশ্নের জবাব দেন এবং সাথে সাথে নিজের ভুল স্বীকার করে গোলাম মর্তুজা শুক্কুর বলেন, “এর আগেও আমি আমার ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সুবিধার্থে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আমার বাড়িতে বসে দিয়েছি। তবে এগুলো পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও দেয়ার আইনত নিয়ম নেই। সম্পূর্ণ বিষয়টি একটি মহল অন্য খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন।”

আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগী জেলে রাসেলসহ আরো অনেকে বলেন, চেয়ারম্যানকে আমরা অনুরোধ করেছি যে চালগুলো তার বাড়িতে বসে দিলে আমাদের সুবিধা হয়। কারণ আঙ্গারিয়া পরিষদ থেকে চাল বাড়ি পর্যন্ত নিতে আমাগো ১/২ শত টাকা খরচ হয়। এর আগেই তিনি তার বাড়িতে বসে চাল দিয়েছেন। আমাদের মনে হচ্ছে চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসাতে একটি কুচক্রী মহল সবসময় তার পিছনে লেগে আছেন।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থানে গিয়েছিলাম। সেখানে জেলেদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে সাড়ে ১৭ টন চাল পাওয়া গেছে এবং আসলে তার এই চাল নিয়ে অসৎ কোন উদ্দেশ্য নেই। তবে আইনগত নিয়ম হলো চালগুলো পরিষদে নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান তার ভুল স্বীকার করেছেন। চালগুলো জব্দ করা হয়েছে।”


আরও খবর পড়ুন: