সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘”কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না।”
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গণভবনে এক প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য দেন তিনি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে এই প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এসময় দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ও উপজেলা নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন করেন সাংবাদিকগণ।
দেশের রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকগণের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘”বাম চলে গেছে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে। তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। আমার একটা প্রশ্ন, বিশেষ করে যারা অতি বাম, সব সময় মনে করি তারা প্রোগ্রেসিভ দল, তারা খুবই গণমুখী দল ইত্যাদি। সেখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক আছে তারা আমাকে উৎখাত করবে। পরবর্তীতে কে আসবে তাহলে, সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই তো আমার প্রশ্ন।”
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না। আন্দোলন করে যাচ্ছে বিদেশে বসে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। প্রতিদিন অনলাইনে আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছে করুক, তাদের তো বাধা দিচ্ছি না।”
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার শক্তি জনগণ। জনগণ যত দিন চাইবে ক্ষমতায় থাকবো। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য যত চক্রান্ত আর বাধা আসুক আমরা বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে।”
১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কেমন ছিলো। এই সময়ে কি কোনো পরিবর্তন হয়নি? এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচন করেছি। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভোটের অধিকার রক্ষার নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চেয়েছি নির্বাচন যাতে প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, এ জন্য বলেছি। তার মানে এই নয় যে এক জায়গায় ছেলেকে, আরেক জায়গায় স্ত্রীকে—এটা তো হয় না। কর্মীদেরও সুযোগ দিতে হবে। এটাই বলতে চেয়েছি।”