এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের ঘরের ভাড়াটিয়া কাশেম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে তার পরিবার সহ সবাইকে ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে। এতে ভুক্তভোগী কাশেম হাওলাদার বাদী হয়ে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি চর ওয়াডেল ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কালাম হাওলাদারের ছেলে।
কাশেম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, মুজিব বর্ষের ঘরটি জাকির মৃধার নামে পায়। তার টাকার প্রয়োজন হলে কবির চৌকিদারের কাছে ঘরটি বিক্রি করে দেয়। পরে আমি আমার পরিবার নিয়ে কবির চৌকিদারের কাছ থেকে ঘরটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছি। এদিকে জাকির মৃধা বিক্রিত্ব ঘরটির টাকা কবির চৌকিদারকে ফেরত দিয়ে পুনরায় ঘরটি পায়।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে আমাকে আমার পরিবার নিয়ে কোনো প্রকার সময় না দিয়ে ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। আমি ভাড়াটে ঘরটি না ছাড়ায় রোববার দিন সন্ধ্যার আগে বাবুল খার দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে মনির হাওলাদার, বাবুল খা, মজু খা ও জাকির মৃধা একত্র হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এবং আমার পরিবারদেরকে ঘর থেকে নামিয়ে দিয়ে ঘরে তালা মেরে দেয়। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি বিচার চাই।
এব্যাপারে কবির চৌকিদারের সাথে তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ বলায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তদের মধ্যে মনির হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে কেমনে কেমন করে জানি জাকির মৃধা সরকারি ঘরটি তার নামে বরাদ্দ পায়। জাকির মৃধা একজন অসহায় মানুষ। পরে ঘরটি বিক্রি করে ফেলে। এখন আবার পুনরায় ওই টাকা ফেরত দিয়ে ঘরটি নেয়। কিন্তু তিনমাস অতিবাহিত হলেও কাশেম হাওলাদার ঘর থেকে তার পরিবার নিয়ে নামেননা।
বাবুল খা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কবির চৌকিদারের টাকা জাকির মৃধা পরিশোধ করে দিয়েছে। কিন্তু ভাড়াটিয়া কাশেম হাওলাদারকে এই ২/৩ মাস পর্যন্ত নামতে বলে কিন্তু সে নামেনা দেখে আমার দোকানে সামনে তার সাথে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। এমনে কোনো মারামারি হয় নাই।
বাউফল থানার এসআই মাসুদ খলিফা বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালীঃ 








