১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে নির্বিঘ্নে কালি পূজা সম্পন্ন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালি পূজা) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালি পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পুরাণ মতে দেবী দুর্গারই একটি শক্তি কালি। সংস্কৃত ভাষার ‘ কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালি পূজা হচ্ছে জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালিপূজার মহাত্ম। কালি দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালি, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালি পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িতে ও শ্মশানে এবং মন্দিরে প্রদীপ, ধুপকাঠি জ্বালানো হয়। এর মধ্যদিয়ে তারা তাদের স্বর্গীয় পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজনদের স্মরন করে আত্মার শান্তি কামনা করেন।

দুর্গা পূজার মতো কালি পূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মান করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিতেও কালিপূজা করা হয়।

পটুয়াখালীতে বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টার দিকে নতুন বাজার শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরে মোমবাতি, ধুপকাঠি ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারনের মাধ্যমে মন্দিরের পুরোহিত শ্রী নিটুল গাঙ্গুলি কালি পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। গভীর রাত পর্যন্ত এ মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ তাদের পরিবার পরিজন ও সন্তানদের নিয়ে শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরে পূজা অর্চনা করে তাদের এবং তাদের স্বর্গীয় স্বজনদের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করতে দেখা গেছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের এ দ্বিতীয় বৃহত্তম কালি পূজা নির্বিঘ্নে, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অর্চনা করতে পারেন তার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সদস্যরা পটুয়াখালীর নতুন বাজার শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরসহ বিভিন্ন কালিপূজা অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

নতুন বাজার কালিপূজা অনুষ্ঠান পরিদর্শনকালে সেনা সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এ্যাড. কাজল বরন দাস, কালিপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুধাংশু কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক শাওনসহ শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

গভীর রাত হতে সকাল ৯টা পর্যান্ত কালিপূজায় আগতদের মধ্যে খিচুরী বিতরণ করা হয়েছে।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...
জনপ্রিয়

জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে পটুয়াখালীর টাউন বহালগাছিয়া সঃ প্রাঃ স্কুলে চিত্রাংকন ও স্কুল ফিডিং অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!

পটুয়াখালীতে নির্বিঘ্নে কালি পূজা সম্পন্ন

আপডেট সময়: ১১:৪৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালি পূজা) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালি পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পুরাণ মতে দেবী দুর্গারই একটি শক্তি কালি। সংস্কৃত ভাষার ‘ কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালি পূজা হচ্ছে জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালিপূজার মহাত্ম। কালি দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালি, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালি পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িতে ও শ্মশানে এবং মন্দিরে প্রদীপ, ধুপকাঠি জ্বালানো হয়। এর মধ্যদিয়ে তারা তাদের স্বর্গীয় পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজনদের স্মরন করে আত্মার শান্তি কামনা করেন।

দুর্গা পূজার মতো কালি পূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মান করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিতেও কালিপূজা করা হয়।

পটুয়াখালীতে বৃহষ্পতিবার রাত ১০ টার দিকে নতুন বাজার শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরে মোমবাতি, ধুপকাঠি ও আগরবাতি প্রজ্জ্বলন করে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারনের মাধ্যমে মন্দিরের পুরোহিত শ্রী নিটুল গাঙ্গুলি কালি পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। গভীর রাত পর্যন্ত এ মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ তাদের পরিবার পরিজন ও সন্তানদের নিয়ে শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরে পূজা অর্চনা করে তাদের এবং তাদের স্বর্গীয় স্বজনদের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করতে দেখা গেছে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের এ দ্বিতীয় বৃহত্তম কালি পূজা নির্বিঘ্নে, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অর্চনা করতে পারেন তার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সদস্যরা পটুয়াখালীর নতুন বাজার শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দিরসহ বিভিন্ন কালিপূজা অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

নতুন বাজার কালিপূজা অনুষ্ঠান পরিদর্শনকালে সেনা সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এ্যাড. কাজল বরন দাস, কালিপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুধাংশু কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক শাওনসহ শ্রী শ্রী কালিমাতা মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

গভীর রাত হতে সকাল ৯টা পর্যান্ত কালিপূজায় আগতদের মধ্যে খিচুরী বিতরণ করা হয়েছে।