১২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুরবানী ঈদের পরেও দুমকীতে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম

রিয়াজুল ইসলাম: পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে যে চিত্র পাওয়া গেছে তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে লাগামহীন অবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিনে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খরা, বন্যা, অতি বৃষ্টির কারণে এখন অধিকাংশ সবজি ও চালের দাম বাড়তি। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম বেড়েই চলছে। তবে সবজির সরবরাহ এমনিতেই সিজন অনুযায়ী কম।

উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে পুঁই শাকের আঁটি ৪০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ২০, মিস্টি কুমড়া শাকের আঁটি ৩০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, পটলের কেজি ৩০ টাকা, শশার কেজি, করলার কেজি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ২৮০ টাকা, কচু মুখীর কেজি ৪০ টাকা, কচু গাডির কেজি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৬০ টাকা, দেশী কাগজী লেবুর হালি ১৫ টাকা, দেশি সবরি কলা ছোট সাইজের হালি ৪০ টাকা, দেশি হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা, দুধের লিটার ৮০ টাকা, হলুদ গুঁড়ার কেজি ৩৫০ টাকা, মরিচ গুড়ার কেজি ৪০০ টাকা।

এদিকে ঈদুল আজহার সময় মাছের দাম বৃদ্ধি হলেও তা আর কমেনি। খুচরা বাজারে পাঙ্গাশ মাছের কেজি ১৮০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩০০ টাকা, সাগরের মাছ বরফ যুক্ত ১৮০-২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছের (মাঝারি) কেজি ৮০০ – ১০০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগীর কেজি ২৬০ টাকা, সোনালী কক মুরগীর কেজি ৩৬০ টাকা, গরুর গোস্তের কেজি ৮০০ টাকা, খাসীর গোস্তের কেজি ১১০০ টাকা।

অপর দিকে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ থাকলেও খুচরা বাজারে দেশী দিশা ইরি চালের কেজি ৬০ টাকা, দেশী আমন চালের কেজি ৬৫ টাকা, প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৬৮ থেকে ৮০ টাকা, বিআর২৮ ও বিআর২৯ চাল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, দেশী বাসমতি চালের কেজি ৮০ থেকে ৮৪ টাকা। মাঝারি মানের পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা মানভেদে ৪৯ থেকে ৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছরও সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...
জনপ্রিয়

জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে পটুয়াখালীর টাউন বহালগাছিয়া সঃ প্রাঃ স্কুলে চিত্রাংকন ও স্কুল ফিডিং অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!

কুরবানী ঈদের পরেও দুমকীতে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম

আপডেট সময়: ০৯:১৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

রিয়াজুল ইসলাম: পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে যে চিত্র পাওয়া গেছে তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে লাগামহীন অবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সরেজমিনে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, খরা, বন্যা, অতি বৃষ্টির কারণে এখন অধিকাংশ সবজি ও চালের দাম বাড়তি। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে চালের দাম বেড়েই চলছে। তবে সবজির সরবরাহ এমনিতেই সিজন অনুযায়ী কম।

উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে পুঁই শাকের আঁটি ৪০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ২০, মিস্টি কুমড়া শাকের আঁটি ৩০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, পটলের কেজি ৩০ টাকা, শশার কেজি, করলার কেজি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ২৮০ টাকা, কচু মুখীর কেজি ৪০ টাকা, কচু গাডির কেজি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৬০ টাকা, দেশী কাগজী লেবুর হালি ১৫ টাকা, দেশি সবরি কলা ছোট সাইজের হালি ৪০ টাকা, দেশি হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা, দুধের লিটার ৮০ টাকা, হলুদ গুঁড়ার কেজি ৩৫০ টাকা, মরিচ গুড়ার কেজি ৪০০ টাকা।

এদিকে ঈদুল আজহার সময় মাছের দাম বৃদ্ধি হলেও তা আর কমেনি। খুচরা বাজারে পাঙ্গাশ মাছের কেজি ১৮০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩০০ টাকা, সাগরের মাছ বরফ যুক্ত ১৮০-২৫০ টাকা, চিংড়ি মাছের (মাঝারি) কেজি ৮০০ – ১০০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগীর কেজি ২৬০ টাকা, সোনালী কক মুরগীর কেজি ৩৬০ টাকা, গরুর গোস্তের কেজি ৮০০ টাকা, খাসীর গোস্তের কেজি ১১০০ টাকা।

অপর দিকে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ থাকলেও খুচরা বাজারে দেশী দিশা ইরি চালের কেজি ৬০ টাকা, দেশী আমন চালের কেজি ৬৫ টাকা, প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৬৮ থেকে ৮০ টাকা, বিআর২৮ ও বিআর২৯ চাল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, দেশী বাসমতি চালের কেজি ৮০ থেকে ৮৪ টাকা। মাঝারি মানের পাইজাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা মানভেদে ৪৯ থেকে ৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছে, গত বছরের তুলনায় এ বছরও সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।