১০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে এক সহকারী সেরেস্তাদারের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোর্ট থেকে ছোলে মূলে সাত শতাংশ জমি দলিল করে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে ঘরবাড়ি নির্মানে পায়তারার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাসুম খানসহ ৫ ভাই-বোন।

শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বরুনবাড়িয়া নিবাসী মোঃ মাসুম খান তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা ৪ ভাই ও ৩ বোন। আমার মায়ের বাবার বাড়ি পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের টাউন কালিকাপুরে ওয়ারিশ সূত্রে ৭ শতাংশ জমির মালিক। আমার মা রাহিমা বেগম মৃত্যু বরন করায় আমরা ভাই-বোন ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত ৭ শতাংশ জমির মালিক বিদ্যমান থাকি। আমি রুটি রুজির জন্য মালয়েশিয়ায় থাকার সুযোগে আমার মামাতো ভাই পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার মো. মাহাতাব খন্দকার আমার অশিক্ষিত ৬ ভাই বোনকে প্রতারনার মাধ্যমে নানা বাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি রেকর্ড করে দেয়ার কথা বলে এক কপি করে ছবি নিয়ে ৭ ভাই বোনের মধ্যে ৪ ভাই কবির খান, মো. সোহাগ খান, বাহাদুর খান ও রেহেনা বেগমের স্বাক্ষর নেয় এবং আমার (মাসুদ খান), বোন সাহিদা বেগম ও ঝর্না বেগমের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোর্ট থেকে ছোলে মূলে দলিল করেন মাহাতাব খন্দকারগং।

আমি দেশে এসে জাল দলিল করার খবর পেয়ে কোর্ট থেকে কাগজ পত্র সংগ্রহ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি চলমান রেখে উক্ত সম্পত্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। সম্প্রতি আমার মামাতো ভাই সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকার কোর্ট থেকে মামলার নথিপত্র গায়েব করে আমাদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তিতে বিশেষ করে এ জমিতে নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকা সত্বেও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি স্থাপনা করার পায়তারা করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মো. মাসুম খান। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার ভাই কবির খান, সোহাগ খান, বোন সাহিদা বেগম ও বোন মরহুমা ঝর্না বেগমের মেয়ে লাভলি আক্তারসহ অন্যান্য স্বজনরা।”

এ ব্যাপারে সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকারে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে ৩,৫৭০ কেজি জাটকা জব্দ; দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ

error: Content is protected !!

পটুয়াখালীতে এক সহকারী সেরেস্তাদারের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময়: ০৯:৩৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোর্ট থেকে ছোলে মূলে সাত শতাংশ জমি দলিল করে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে ঘরবাড়ি নির্মানে পায়তারার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মাসুম খানসহ ৫ ভাই-বোন।

শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বরুনবাড়িয়া নিবাসী মোঃ মাসুম খান তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা ৪ ভাই ও ৩ বোন। আমার মায়ের বাবার বাড়ি পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডের টাউন কালিকাপুরে ওয়ারিশ সূত্রে ৭ শতাংশ জমির মালিক। আমার মা রাহিমা বেগম মৃত্যু বরন করায় আমরা ভাই-বোন ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত ৭ শতাংশ জমির মালিক বিদ্যমান থাকি। আমি রুটি রুজির জন্য মালয়েশিয়ায় থাকার সুযোগে আমার মামাতো ভাই পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের সহকারী সেরেস্তাদার মো. মাহাতাব খন্দকার আমার অশিক্ষিত ৬ ভাই বোনকে প্রতারনার মাধ্যমে নানা বাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি রেকর্ড করে দেয়ার কথা বলে এক কপি করে ছবি নিয়ে ৭ ভাই বোনের মধ্যে ৪ ভাই কবির খান, মো. সোহাগ খান, বাহাদুর খান ও রেহেনা বেগমের স্বাক্ষর নেয় এবং আমার (মাসুদ খান), বোন সাহিদা বেগম ও ঝর্না বেগমের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারনা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কোর্ট থেকে ছোলে মূলে দলিল করেন মাহাতাব খন্দকারগং।

আমি দেশে এসে জাল দলিল করার খবর পেয়ে কোর্ট থেকে কাগজ পত্র সংগ্রহ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি চলমান রেখে উক্ত সম্পত্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। সম্প্রতি আমার মামাতো ভাই সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকার কোর্ট থেকে মামলার নথিপত্র গায়েব করে আমাদের ওয়ারিশকৃত সম্পত্তিতে বিশেষ করে এ জমিতে নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকা সত্বেও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি স্থাপনা করার পায়তারা করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মো. মাসুম খান। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার ভাই কবির খান, সোহাগ খান, বোন সাহিদা বেগম ও বোন মরহুমা ঝর্না বেগমের মেয়ে লাভলি আক্তারসহ অন্যান্য স্বজনরা।”

এ ব্যাপারে সহকারী সেরেস্তাদার মাহাতাব খন্দকারে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।