১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ নিজের টাকায় মেরামত করলেন ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ছালাম

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্ন এলাকার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ ব্যক্তিগত টাকায় মেরামত করে মানবসেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা।

স্থানীয়রা জানায়, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে কমলাপুর ইউনিয়নের চরমৈশাদী গ্রাম সংলগ্ন বেড়িবাঁধ, বট বলইকাঠি গ্রামের বেড়িবাঁধ, চর বলইকাঠি বেড়িবাঁধ ও চন্ডিপুর এলাকার বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। যার ফলে ইউনিয়নের কয়েক’শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরে এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ঘূর্নিঝড়ে বিধ্বস্ত এ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত ও চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারী বরাদ্দের অপেক্ষা না করে ইউনিয়নবাসীর কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘবে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেড়িবাঁধ মেরামতের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।

চরমৈশাদী এলাকার বাসিন্দা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় থামার সাথে সাথেই বেড়িবাঁধ মেরামত করার ফলে আমাদের চলাচলের অনেক উপকার হয়েছে। সামনে আরো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে এ এলাকার মানুষের ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আর দুঃশ্চিন্তায় থাকতে হবে না।”

বট বলইকাঠি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, “বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারতো না। চেয়ারম্যান তার নিজের টাকা দিয়ে দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামত করায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখন স্কুল-মাদরাসায় আসা-যাওয়া করতে পারছে। সকলের জন্য যাতায়াতে সুবিধা হয়েছে।”

বেড়িবাঁধ মেরামত সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা বলেন, “আমার এলাকার মানুষ কষ্টে পানিবন্দী থাকলে তা খুবই দুঃখজনক। সরকারি বরাদ্দ পেতে দেরি হবে ভেবে নিজ এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়েছে।” সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে কমলাপুরের বিভিন্ন এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবেও বলে জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...

পটুয়াখালীতে ৩,৫৭০ কেজি জাটকা জব্দ; দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ

error: Content is protected !!

পটুয়াখালীতে রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ নিজের টাকায় মেরামত করলেন ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ছালাম

আপডেট সময়: ১১:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্ন এলাকার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ ব্যক্তিগত টাকায় মেরামত করে মানবসেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা।

স্থানীয়রা জানায়, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে কমলাপুর ইউনিয়নের চরমৈশাদী গ্রাম সংলগ্ন বেড়িবাঁধ, বট বলইকাঠি গ্রামের বেড়িবাঁধ, চর বলইকাঠি বেড়িবাঁধ ও চন্ডিপুর এলাকার বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। যার ফলে ইউনিয়নের কয়েক’শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরে এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। ঘূর্নিঝড়ে বিধ্বস্ত এ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত ও চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সরকারী বরাদ্দের অপেক্ষা না করে ইউনিয়নবাসীর কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘবে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেড়িবাঁধ মেরামতের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস লক্ষ্য করা গেছে।

চরমৈশাদী এলাকার বাসিন্দা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় থামার সাথে সাথেই বেড়িবাঁধ মেরামত করার ফলে আমাদের চলাচলের অনেক উপকার হয়েছে। সামনে আরো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে এ এলাকার মানুষের ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আর দুঃশ্চিন্তায় থাকতে হবে না।”

বট বলইকাঠি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, “বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারতো না। চেয়ারম্যান তার নিজের টাকা দিয়ে দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামত করায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখন স্কুল-মাদরাসায় আসা-যাওয়া করতে পারছে। সকলের জন্য যাতায়াতে সুবিধা হয়েছে।”

বেড়িবাঁধ মেরামত সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা বলেন, “আমার এলাকার মানুষ কষ্টে পানিবন্দী থাকলে তা খুবই দুঃখজনক। সরকারি বরাদ্দ পেতে দেরি হবে ভেবে নিজ এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়েছে।” সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে কমলাপুরের বিভিন্ন এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবেও বলে জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।