১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে চলছে শারদীয় দূর্গা উৎসবের প্রস্তুতি; দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা

এম. নিয়াজ মোর্শেদ, পটুয়াখালীঃ শরতের কাঁশফুল আর শিশিরভেজা ভোর জানান দিচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসবের আগমনী বার্তা। আসছে ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব এবং চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। আর ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালী জেলায় চলছে ২০০ টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমা তৈরীর কারিগররা কাঁদা-মাটি, বাঁশ আর খড় দিয়ে তিল তিল করে প্রতিমা তৈরী করছেন। মৃৎ শিল্পীদের ছোঁয়ায় অপরূপ সাজে সজ্জিত হচ্ছে দেবী দূর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ ও অসুর সহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা। অপর দিকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকজন মন্দিরের সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন আর লাইটিং এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেকরেশনের লোকজন। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে চলছে নানা প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পটুয়াখালী জেলার সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী জানান, “পটুয়াখালী সদর সহ ৯ টি থানায় মোট ২০০ টি পূজা মন্ডপে এ বছর পূজা অনুষ্ঠিত হবে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে কম পূজা মন্ডপ রাঙ্গাবালীতে ৬টি, মহিপুরে ৮টি, দুমকীতে ১০টি, কলাপাড়ায় ১১টি, দশমিনায় ১৬টি, মির্জাগঞ্জে ২০টি, পটুয়াখালী সদরে ২৭টি, গলাচিপায় ২৯টি, ও সর্ব্বোচ্চ পূজা মন্ডপ বাউফলে ৭৩টি। এর মধ্যে ঘট পূজা হবে ৬৪ টি পূজা মন্ডপে এবং ২য় দিনেই বিসর্জন হবে ৫টি পূজা মন্ডপের প্রতিমা। বাকী পূজা মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে দশমীতে।”

তিনি আরও জানান, “এ বছর আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় গেলে তারা আমাদেরকে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সহ সাদা পোশাকে তাদের লোকজন সার্বক্ষণিকভাবে সকল পূজা মন্ডপ তদারকি করবেন বলে জানান। আমাদেরও কার্ডধারী ভলান্টিয়ার থাকবে প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে। এ ছাড়াও প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপের নিজস্ব লোকজনও থাকবে। প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে থাকবে সার্বক্ষণিক সিসিটিভির ব্যবস্থা। পূজার ৫ দিন প্রশাসনের কড়া নজরদাড়িতে থাকবে প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপ।”

Tag:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সেইভ করুন:

আমাদের সম্পর্কে জানুন:

South BD News 24

South BD News 24 is committed to publish the daily news of South Bengal based on authenticity, honesty and courage...
জনপ্রিয়

জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে পটুয়াখালীর টাউন বহালগাছিয়া সঃ প্রাঃ স্কুলে চিত্রাংকন ও স্কুল ফিডিং অনুষ্ঠিত 

error: Content is protected !!

পটুয়াখালীতে চলছে শারদীয় দূর্গা উৎসবের প্রস্তুতি; দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা

আপডেট সময়: ০৫:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

এম. নিয়াজ মোর্শেদ, পটুয়াখালীঃ শরতের কাঁশফুল আর শিশিরভেজা ভোর জানান দিচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসবের আগমনী বার্তা। আসছে ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব এবং চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। আর ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালী জেলায় চলছে ২০০ টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজার প্রস্তুতি। দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমা তৈরীর কারিগররা কাঁদা-মাটি, বাঁশ আর খড় দিয়ে তিল তিল করে প্রতিমা তৈরী করছেন। মৃৎ শিল্পীদের ছোঁয়ায় অপরূপ সাজে সজ্জিত হচ্ছে দেবী দূর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ ও অসুর সহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা। অপর দিকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকজন মন্দিরের সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন আর লাইটিং এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেকরেশনের লোকজন। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে চলছে নানা প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পটুয়াখালী জেলার সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী জানান, “পটুয়াখালী সদর সহ ৯ টি থানায় মোট ২০০ টি পূজা মন্ডপে এ বছর পূজা অনুষ্ঠিত হবে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে কম পূজা মন্ডপ রাঙ্গাবালীতে ৬টি, মহিপুরে ৮টি, দুমকীতে ১০টি, কলাপাড়ায় ১১টি, দশমিনায় ১৬টি, মির্জাগঞ্জে ২০টি, পটুয়াখালী সদরে ২৭টি, গলাচিপায় ২৯টি, ও সর্ব্বোচ্চ পূজা মন্ডপ বাউফলে ৭৩টি। এর মধ্যে ঘট পূজা হবে ৬৪ টি পূজা মন্ডপে এবং ২য় দিনেই বিসর্জন হবে ৫টি পূজা মন্ডপের প্রতিমা। বাকী পূজা মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে দশমীতে।”

তিনি আরও জানান, “এ বছর আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় গেলে তারা আমাদেরকে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সহ সাদা পোশাকে তাদের লোকজন সার্বক্ষণিকভাবে সকল পূজা মন্ডপ তদারকি করবেন বলে জানান। আমাদেরও কার্ডধারী ভলান্টিয়ার থাকবে প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে। এ ছাড়াও প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপের নিজস্ব লোকজনও থাকবে। প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে থাকবে সার্বক্ষণিক সিসিটিভির ব্যবস্থা। পূজার ৫ দিন প্রশাসনের কড়া নজরদাড়িতে থাকবে প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপ।”