জালাল আহমেদ, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে ঘূর্নিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে অতি বৃষ্টির কারনে ১৮ হাজার ৮২২ হেক্টর রোপা আমনসহ ২২ হাজার ৭৬২ হেক্টর খেসারি, শাকসবজি, মরিচ, সরিষা ও তরমুজ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। টাকার পরিমানে ক্ষতি হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এতে ৪৪ হাজার ৯০৬ টি কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ ও ১৭ নভেম্বর দুদিনের ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় জেলার ৮টি উপজেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৪ হেক্টর জমির রোপা আমন আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যা ক্ষতির শতকরা হার ১৫ পার্সেন্ট। টাকার হিসাবে ক্ষতি ৩৫ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক পরিবার হচ্ছে ৩২, ৪৫৯। এ ঘূর্নিঝড়ে আবাদকৃত ৪৫০০ হেক্টর খেসারি ডালের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৩০০০ হেক্টর। টাকায় ক্ষতি হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ৪ হাজার। আবাদকৃত শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে ২০০ হেক্টর। টাকায় ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ৮৪৪৭ জন। ৮০ হেক্টর মরিচ আবাদের ক্ষতির পরিমান ৮ হেক্টর। টাকায় ক্ষতি ৪০ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ৫০ জন। এছাড়া আবাদকৃত সরিষা শস্যের আক্রান্তের পরিমান ১৮ হেক্টর। টাকায় ক্ষতি ২৪ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হচ্ছে ৬২ জন। ১৫০ হেক্টর আবাদ তরমুজের আক্রান্তের পরিমান ১০০ হেক্টর। টাকায় ক্ষতি ৩০ লক্ষ টাকা। এতে ৫০০ কৃষক ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানা গেছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের কৃষক মো. আল-আমিন জানান, ঘূর্নিঝড়ে ৯০ শতাংশ জমিতে লাগানো লাউগাছ, বেগুন চারা, পেপে গাছ, শসা ও টমেটো প্রায় সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। ২ কানি জমিতে রোপা আমনের তিন ভাগের একভাগ নষ্ট হয়েছে। পথের ভিখারী হয়েছি বললেন কৃষক আল- আমিন।