নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের তিন দিনের (৭২ ঘণ্টা) অবরোধের তৃতীয় দিন শেষ হলো আজ বৃহস্পতিবার। কিন্তু পটুয়াখালীতে রাস্তায় দূরপাল্লার পরিবহন না চললেও তিন চাকার যানবাহন চলাচল সহ সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো।
জেলা শহর সহ কোন উপজেলায়ও অবরোধ পালনে মাঠে দেখা মেলেনি বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের। কোথাও কোনো অঘটনের সংবাদ শোনা যায়নি।
তবে জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সতর্ক অবস্থায় জেলা সদরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত জেলায় এমনই চিত্র দেখা গেছে। পটুয়াখালী চৌরাস্তার অটো চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, যাত্রী কিছুটা কম থাকায় যানবাহন চলাচল হচ্ছে তুলনামূলক ধীরগতিতে। ব্যাংক-বিমা-স্থানীয় সমিতি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ছিল প্রতিদিনের মতো। বাজারঘাটও ছিল স্বাভাবিক।
জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পটুয়াখালী শহরে কোনো অবরোধ পালিত হতে দেখা যায়নি। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেও মাঠে দেখা যায়নি। তবে সবার মধ্যেই একটি চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। কাঁচাবাজারসহ সব ধরনের পণ্যের বেচাকেনা ছিল স্বাভাবিক। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর সংবাদ শোনা যায়নি। স্কুল-কলেজ মাদরাসা খোলা ছিল। বাজারঘাটও ছিল নিত্যদিনের মতো।
তবে অবরোধ কর্মসূচীতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি, আমাদের কোন পিকেটিং কিংবা প্রতিবন্ধকতার বিষয় নেই। জনগন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই অবরোধ পালন করছে। আমরা জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও পটুয়াখালী জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জালমাল রক্ষায় পুলিশ তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে। কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।