1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাউফলে ৮ ফুট জায়গা কেড়ে নিলো এক নারীর জীবন গৌরনদী রহমানিয়া মাদরাসার ছাত্রদের নাজরানা ও ছবক প্রদান অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা তসলিম সিকদার গ্রেফতার  হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির দুঃসময়ের কাণ্ডারি উল্লেখ করে পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি বিএনপির পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ; ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩০, চিকিৎসাধীন ৫২ পটুয়াখালীতে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাউফলের গ্রামগঞ্জ থেকে দিনদিন হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় খেজুর গাছ পটুয়াখালীতে সৎ মা ও দাদিকে কু*পিয়ে হ*ত্যার আসামী আল-আমিন ঢাকায় গ্রে*ফতা*র বাউফলে চিরকুট লিখে মেয়ের আ*ত্মহ*ত্যার ঘটনায় বাবার মামলা পটুয়াখালীতে নিজ রুমে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে এক যুবকের মৃ*ত্যু 

লাঞ্ছিত শিক্ষক, লাঞ্চিত জাতি এবং বাস্তবতা

মো. রিয়াজুল ইসলামঃ
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষক মাথার মুকুট, জাতির আলোর দিশারী। তবে এই পেশাকে অনেকেই করছেন কলুষিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা কেন শিক্ষার্থীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন? আসল জায়গায় অনেকেই হাত দিচ্ছেন না। এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের সভাপতি পদ কেন এতো মজার? বিভিন্ন গ্রুপে, দলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতেও এতটুকু দ্বিধা করেনি। সিংহভাগ সভাপতিই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জিম্মি করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করিয়ে জনরোষে ফেলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। তারা ক্ষণিকের অতিথি হয়ে এসে চেটেপুটে বারোটা বাজিয়ে গেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

তবে এমনও রয়েছে দু’একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান যারা নিজেরাই রাজনীতিতে লেজুড়বৃত্তি করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অর্থ লোপাট বা তসরুপ করেছেন অধিকাংশই সভাপতিরাই দলের প্রভাব খাটিয়ে লোপাটকৃত অর্থের লার্জ পরশন নিজের পকেটে ঢুকিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে লামসাম ধরিয়ে দিয়েছেন। এখন তা প্রতিষ্ঠান প্রধানের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সবচেয়ে বেশি রোষানলে পড়েছেন স্থানীয় সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্য ও আত্মীয়করণকে কেন্দ্র করে। কারন পদের সংখ্যা সীমিত, আবেদনকারী অসংখ্য। শ্যাম রাখি না কুল রাখি এমন অবস্থা ছিল।

এমন সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অপদস্ত করার সময় সহকারীরা কেন নিরব? তবে কী এতে তাদেরও সায় আছে? এতে আবার সহকারীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ বলছেন-সভাপতি নিয়ে যখন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ভাগেযোগে খেয়েছেন তখন কী সহকারীদের দিয়েছেন?

এবার আসা যাক সহকারী শিক্ষকদের বেলায়। কোন কোন সহকারী শিক্ষকও লাঞ্ছিত হয়েছেন। প্রাইভেট না পড়লে ফেল করানো, প্র্যাকটিক্যাল মার্কস কম দেয়া, কোচিং এ বাধ্য করা, পরীক্ষার আগে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন দিয়ে দেয়া, বাইরের স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়লে ক্লাসে দাড়া করিয়ে অপমান করা ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তারা। পৃথিবীটা একটা আয়নার মত। আপনি যা যা করেছেন তাই আপনার দিকে ফিরে আসছে। এগুলো আপনার হাতের কামাই আপনি পাচ্ছেন। আসলে যাদের মাঝে অল্প হলেও শিক্ষকসুলভ আচরণ বা নৈতিকতা ছিল তারা কিন্তু কেউ লাঞ্ছিত হয়নি। যারা লাঞ্ছিত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই নীতিহীন-দুর্বৃত্ত-দূর্নীতিবাজ, মামু-খালু বা দলের প্রভাবে আকাশে উড়েছিলেন।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল শিক্ষার্থীদের মাথায় কাঁঠাল রেখে স্থানীয় কিছু দুষ্ট চক্র ঘরপোড়ার মধ্যে আলু পোড়া মানে বিগত দিনের বিভিন্ন ক্ষোভের ঝাল মেটাতে ব্যস্থ হয়ে উঠেছেন। অপরপক্ষে আরেক দল দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বা সহজ সরল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সুরক্ষা করবেন মানে তাদের বিরুদ্ধে যেন আনন্দোলন না হয় তা ঠেকিয়ে এই ফাঁকে কিছু অর্থ আদায় করার ধান্দায় রয়েছেন। আর যেসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়ম সহ নানাবিধ অভিযোগ থাকবে তাদের বিষয়ে অবশ্যই প্রশাসনের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে, আইনের আওতায় আনতে হবে। ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি প্রথা বা যেকোনো ধরনের নিয়োগ কমিটির হাতে না রাখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির হার অনেকাংশে কমে আসবে। সভাপতি পদ নিয়ে দলাদলি বা কোন গ্রুপিং হবে না, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে।

সবশেষে ছাত্রদের মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে একজনও খারাপ বাবা নেই, খারাপ শিক্ষক নেই।

লেখকঃ
রিয়াজুল ইসলাম
শিক্ষক ও সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট