মো. রিয়াজুল ইসলাম, দুমকি, পটুয়াখালীঃ ঘুর্নিঝড় মিধিলি'র প্রভাবে পটুয়াখালীর দুমকীতে টানা ২ দিন অবিরাম মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণসহ দমকা হাওয়ার প্রভাবে আমন ধানসহ শীতকালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কৃষকেরা অপরদিকে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের মেইন খুঁটি ভেঙে ও হেলে পড়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিচু জমির আমন ধান যা কেবল শীষ ধরেছে সেই ধান গাছ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। রবি মৌসুমের শাক-সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে ৫টি টিনের ঘর পড়ে গেছে। উপজেলার প্রায় এলাকায়ই বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
উত্তর রাজাখালী গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ খান বলেন, ধানের যে গোছা অপর গোছার তলে পড়েছে তাতে আর ধান হবে না। অপর দিকে বাজারে এমনিতেই সবজির দাম চড়া। তার ওপরে এ দুযোর্গ। দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামের নাসির গাজী জানান, দুদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। গত রাত অন্ধকারে কাটিয়েছি। আজ যদি বিদ্যুৎ না আসে তবে ফ্রীজে রাখা মাছ মাংস মনে হয় পচে যাবে।
দুমকী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, "ঘূর্নিঝড় মিধিলি'র প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের মেইন খুঁটি ভেঙে গেছে, অন্তত ২০টি খুটি হেলে পড়েছে, ৭০ টি লাইন ও ৫২ টি মিটারের তার ছিড়ে গেছে।" তিনি আরো বলেন, "উপজেলার সকল পয়েন্টে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে কমপক্ষে আরও ২দিন সময় লাগবে।"
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, "প্রায় ১৯৪০ হেক্টর প্রান্তিক ও ১১৫০ হেক্টর ক্ষুদ্র চাষীদের আমন ও ইরি ধানের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় কৃষকদের শীতকালীন শাক সবজি, খেসারি ডাল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে জমি থেকে অতি দ্রুত যদি পানি সরিয়ে দেয়া যায় তবে কিছুটা হলেও ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, "জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ঘুর্নিঝড় মিধিলি পরবর্তী সময়েও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।"