• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

ভুল চিকিৎসায় পটুয়াখালীতে প্রসূতি নারীর মৃত্যু

জাকির মাহমুদ সেলিম, পটুয়াখালীঃ / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

জাকির মাহমুদ সেলিম, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে চিকিৎসকের ভুলে আয়শা আক্তার রিমি (২০) নামের এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবারন (১৬অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শহরের মুক্তি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি মৃতের স্বজনদের। রিমি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজা খালি গ্রামের সুমন সিকদারের স্ত্রী।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু জন্মের আগেই মা ও সন্তানের মৃত্যুর খবরে আহাজারি করছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। স্বজনদের কান্নাকাটি আর বুক ফাটা চিৎকারে ভারি হয়ে উঠেছে ক্লিনিক প্রাঙ্গন।

রিমির খালা মোসা মালেকা বলেন, “আমি আর রিমির মা ওটির মধ্যে, তখন রিমির স্যালাইন চলে। তখন ক্লিনিকের একজন লোক এসে বলে এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার আসছে আপনারা বের হন। আমরা বের হয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেকক্ষন পরে হঠাৎ ক্লিনিকের লোকজনের দৌড়াদৌড়ি দেখে আমরা জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। আমাদের কেউ কোন উত্তর দেয় না। এর প্রায় ঘন্টাখানেক পরে এ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার এসে আমাদের বলে ইনজেকশন দেয়ার পর রোগী অজ্ঞান হয়ে গেছে। আবার অনেকক্ষন পরে মনির ডাক্তার এসে বলে রোগী মারা গেছে। ওনারা আগেই মেরে ফেলেছে কিন্তু আমাদের বলে নাই।”

এ বিষয়ে জানতে মুক্তি ক্লিনিকের মালিক ও সিজারিয়ানের দায়িত্বে থাকা ডাঃ মনির হোসেন ও এ্যানেসথেসিয়ার দায়িত্বরত চিকিৎসক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ হোসাইন আহমেদের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম জানান, “বিষয়টি নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া এমন কোন ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।”

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন জানান, তিনি বিষয়টি অবগত নন। তবে ব্যাপারটি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন।


আরও খবর পড়ুন: