• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে তিন প্রার্থীর জন্য হাতপাখায় ভোট চাইলেন চরমোনাইর পীর সৈয়দ ফয়জুল করিম চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ

বাউফল হাসপাতালে ১৫ চিকিৎসক পদের ১১পদ শূণ্য, সেবা বঞ্চিত প্রান্তিক মানুষ

এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালীঃ / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

এম জাফরান হারুন, বাউফল, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫টি চিকিৎসক পদের ১১টি পদই শূণ্য পড়ে রয়েছে। এ উপজেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা চলছে মাত্র ৪জন চিকিৎসক দিয়ে। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক মানুষেরা। কাক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে বাউফল উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্টিত হয়। ১৯৮৫ সালে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যায় উন্নিত হয়। প্রান্তিক মানুষের সেবার মান উন্নয়নের জন্য ২০১৩ সালের ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১৫জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৪জন।

গাইনী, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও মেডিকেল অফিসার সহ ১১জন চিকিৎসকের পদ শূণ্য পড়ে রয়েছে। শুধু চিকিৎসক সংকট নয়, সহকারি সার্জন, নার্স সহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকটও রয়েছে। হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ উপজেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ।

সরেজমিনে হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায় রোগীদের উপচে পড়া ভীর। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। একজন মাত্র চিকিৎসক রোগী দেখছেন। রোগীর প্রচুর ভীর থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।

চিকিৎসক স্মামী আক্তার বলেন, তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মানবিক কারণে সকাল থেকেই চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শিশু সন্তান নিয়ে চিকিৎসকের অপেক্ষায় লামিয়া বেগম রুপা আক্ষেপ করে বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে শিশু সন্তান নিয়ে অপেক্ষা করছি। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তিন দিন ধরে শিশুটি পেটের পীড়ায় ভুগছে, স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ্য না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার পরেও সেবা পাচ্ছি না।

সাহিদা বেগম নামে আরেক রোগী বলেন, ৫দিন ধরে জরে আক্রান্ত। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ঘন্টার পর অপেক্ষা করে উল্টো আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে চিকিৎসক যুথী বলেন,‘ এটি বড় উপজেলা।

এখানে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। প্রতিদিন জরুরি বিভাগ ও বর্হিবিভাগে অনেক রোগী আসে। চিকিৎসক সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রউফ বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারনে হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থা।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিকেল অফিসার এনে কোন রকম ভাবে সামাল দিচ্ছি। চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা.খালিদুর রহমান মিয়া বলেন, চিকিৎসক সংকটে উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে কোন মুহুর্তে বিপর্যস্ত হতে পারে বলে তিনি আশংঙ্কা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন।


আরও খবর পড়ুন: