মো: রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোরশেদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তবে ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করেছেন কয়েকজন শিক্ষক এমন অভিযোগ উঠেছে এবং ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সহ অধীকাংশ শিক্ষকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর এক স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে তার কার্যালয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ঘটনাস্থলে বাউফল থানার পুলিশ পৌঁছে তাকে নিরাপদে বাসায় ফেরত যেতে সহায়তা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়কে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন অপর একটি বিদ্যালয়ের (আবদুস সালাম মৃধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়) শারীরিক শিক্ষক সাইদুর রহমান বাচ্চু। ওই সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মাওলানা আব্দুল ওহাব, আব্দুস ছত্তার, হাসান মৃধা, মো. শাহজাহান মৃধা, শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন, আ. হালিম প্রমূখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের জন্য মানববন্ধন করেন কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উক্ত প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন সহ ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী থাকলেও মাত্র তিনজন শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান বিদ্যালয়ের প্রত্যাহিক সমাবেশ চলাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করেছেন।
বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল ওহাব বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান এর অনিয়মের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছি। তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমরা তার পদত্যাগ চাই।
শিক্ষক বাচ্চু মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেছি ,তবে তিনি তার প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিয়ে অন্য একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেনো মিছিল করছেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মঞ্জুর মোরশেদ জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রতিষ্ঠানটি দখলে নিয়ে লুটপাট চালানোর জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে এবং শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করেছে।