1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাউফলে দু*র্বৃত্তের দেয়া আ*গুনে পু*ড়ে ছাই গরু-ছাগলসহ অর্ধশত হাঁস-মুরগি পটুয়াখালীতে বিয়ে নিয়ে কথা কা*টাকা*টি; সংঘ*র্ষে নিহ*ত-১; গ্রে*ফতার-১ বাউফলে খেড়ের কুড়ের পাশে নিখোঁজ যুবকের লা*শ পটুয়াখালীতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ভূমি উপ-সহকারি বাপ্পির মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরনসভা অনুষ্ঠিত  বাউফলে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ ‘বাউফল সাংবাদিক ক্লাব’ এর কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে পটুয়াখালীতে ইমাম পরিষদের সংবাদ সম্মেলন  বাউফলে সেই সংঘ*র্ষে আ*হ*ত বৃদ্ধের অবশেষে মৃ*ত্যু পটুয়াখালীতে বিভিন্ন আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত

বাউফলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে মা ইলিশ শিকার

মুঃ মুজিবুর রহমান, বাউফল, পটুয়াখালীঃ
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২২৯ বার পড়া হয়েছে

মুঃ মুজিবুর রহমান, বাউফল, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে মা ইলিশ শিকারের মহাৎসব তেঁতুলিয়া নদীর ৪১ কিলোমিটারের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষনা করা হলেও এর ৭-৮টি পয়েন্টে চলছে এ মা ইলিশ শিকার। শিকারকৃত মা ইলিশ অভিনব কায়দায় বিক্রি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সরেজমিনে জানা গেছে, বাউফল উপজেলার নদী বেষ্টিত ধুলিয়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেশবপুর, নাজিরপুর ও কালাইয়া এই ৫ ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার জেলে রয়েছেন। তারা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারী চাল দেয়া হলেও তারা নদীতে মাছ শিকার করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানান, তারা মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে জাল ও নৌকা ক্রয় করেছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে তাদেরকে কিস্তির টাকা দিতে হয়। তাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা নদীতে মাছ শিকারে যান।

তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া, মঠবাড়িয়া, নিমদি, বগিসহ ৭-৮টি পয়েন্টে দিবা-রাত্র মা ইলিশ শিকার করেন অসাধু জেলেরা। তাদের প্রতিহত করতে নদীতে টহলের ব্যবস্থা করা হলেও তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। দিনে দু একবার অভিযান পরিচালনা করেন।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অসাধু জেলেরা মাছ শিকারে সাধারণ ট্রলার ও নৌকার পাশাপাশি পাখি ট্রলার ব্যবহার করেন। ওই পাখি ট্রলারের স্পিট এত বেশী যে অন্য যেকোন ট্রলার বা স্পিড বোট দিয়ে ধাওয়া করেও তাদেরকে ধরা যায়না।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মা ইলশ শিকারের পর তা অভিনব কায়দায় বিক্রি করা হয়। শিকারকৃত ইলিশ বস্তায় ভড়ে গ্রামে গঞ্জে বাড়িতে বাড়িতে ফেড়ি করে বিক্রি করা হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় মা ইলিশ। কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই মা ইলিশ বিক্রি করা হয়। মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাহিদা জানানোর পর তারা স্কুল ব্যাগ ও বস্তায় ভড়ে তা মটর সাইকেলযোগে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন। আবার নির্জন এলাকায় গর্ত করে পলিথিন ও লবন দিয়ে শিকারকৃত ইলিশ মজুদ করে রাখা হয়। অবরোধের পর সেই মাছ অন্যত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মৎস্য বিভাগের কতিপয় ব্যক্তির সাথে যোগসাজশ করে মাছ ধরা হয়। এ ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চৌকিদার ও দফাদাররা জেলেদের সাথে রফাদফা করে জেলেদের মাছ শিকারের সুযোগ করে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, টুয়েন্টি পারসেন্ট জেলেরা মাছ শিকার করতে পারে। আমরা তাদের নিবৃত করতে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছি। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মিটার জাল আটকের পর পুড়িয়ে দিয়েছি। ৫ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত জেল দিয়েছেন। নদীতে মা ইলিশ শিকারের মহাৎসব কথাটি সঠিক নয়।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী বলেন, ‘আমরা অভিযান আরো জোড়ালো করতে শনিবার জেলা থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনেছি। আশা করছি অভিযান আগের চেয়ে কঠোর হবে।’
উল্লেখ সরকার গত ১২

অক্টোবর থেকে মা ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট