মুঃ মুজিবুর রহমান, বাউফল, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর বাউফলে একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার রাত ৯ টায় উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এক বছর আগে ওই গ্রামের সোবাহান মৃধার মেয়ে সেতু আক্তারকে (১৬) একই বাড়ির আবুল হোসেন মৃধার ছেলে মেহেদী হাসান জিহাদ (২২) নিজের পছন্দে বিয়ে করেন। এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি সেতুর পরিবার। বিয়ের ৫ মাসের মাথায় সেতুর কাছ থেকে জোড়পূর্বক তালাকানামায় স্বাক্ষর নেন তার বাবা মা। সেতুর স্বামী জিহাদ তার বাবার সঙ্গে কিশোরগঞ্জে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ১ সপ্তাহ আগে জিহাদ ও তার বাবা ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় সেতু তার স্বামীর ঘরে যান। এ খবর পেয়ে সেতুর বাবা সোহাগ মৃধা, মা মেরিনা বেগম, চাচা সুমন মৃধা, দাদা রাজ্জাক মৃধা ও চাচি মলিনা বেগমসহ ৭/৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে জিহাদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সবাইকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন। এতে জিহাদ (২২), তার ছোট ভাই রিফাত (১৪) ও জিহাদের বাবা আবুল মৃধা (৫০) গুরুত্বরভাবে আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে রাতেই বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জহিরুল ইসলাম বলেন, “সেতু ও জিহাদের বাবা আপন চাচাতো ভাই। সেতুর বাবা দিন মজুর আর জিহাদের বাবা ইটভাটার শ্রমিক। মেয়ের জামাই হিসেবে কোনো ভাবেই জিহাদকে মেনে নিতে পারছে না সেতুর বাবা। কিন্তু সেতু তার স্বামী জিহাদকে ছাড়তে রাজী নয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেতুর বাবা কিছুতেই ছাড় দিতে রাজী নন।” বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”