• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর কিশোরী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ / ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ বরগুনা জেলার সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী খলিল ও বশির’কে ২৪ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের মাধ্যমে রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল।

জানা যায়, বরগুনা জেলার বরগুনা সদর এলাকায় বসবাসকারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দম্পতি বরগুনা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। তাদের সংসারে ১৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দম্পতি প্রায়ই তাদের মেয়ে ভিকটিম (১৫)’কে বাসায় রেখে ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য বেরিয়ে যেতো। একই এলাকায় বসবাসকারী মোঃ খলিল (৩৮), মোঃ বশির (৩৫), মোঃ কামাল (৪০), মোঃ দুলাল (৪২) এবং আকলিমা বেগম (৩৩) তাদের প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের সবার সাথে ভিকটিমের পরিবারের সু-সম্পর্ক ছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় গত ১০/০২/২০২৪ ইং তারিখ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দম্পতি তাদের মেয়ে ভিকটিম (১৫)’কে বাসায় রেখে ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য বাসা থেকে বের হয়। অতঃপর খলিলের স্ত্রী ভিকটিমকে ডেকেছে বলে খলিল ভিকটিমকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে খলিল ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমকে জোর পূর্বক একই দিনে দুইবার ধর্ষণ করে। দুলাল ভিকটিমকে ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে, যার ফলে ভিকটিম ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি।

অপরদিকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ ভিকটিমের অপর প্রতিবেশী দুলাল তার স্ত্রীকে মাটির চুলা সরাতে সাহায্য করার জন্য দুলালের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম দুলালের বাসায় গিয়ে দেখে দুলারের স্ত্রী বাসায় নেই। অতঃপর দুলাল ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে তার বাসার ভিতরে নিয়ে যায়। উক্ত বাসার ভিতরে পূর্ব হতে বশির ও কামাল উপস্থিত ছিলে। ভিকটিম তাদেরকে দেখে ডাক-চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুলাল, বশির ও কামাল সবাই মিলে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। আসামীরা ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।

পরবর্তীতে ভিকটিমের দৈহিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হওয়ায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে তাদের পাশ্ববর্তী মা ও শিশু ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভিকটিম অন্তঃসত্তা বলে জানায়। অতঃপর ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার পরিবারকে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের দাদী বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বরগুনা সদর থানায় ধর্ষক খলিল, দুলাল, বশির, কামাল ও ধর্ষণে সহযোগীতা করায় খলিলের স্ত্রী আকলিমাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১/১২৪, তারিখ-০১/০৫/২০২৪ ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/০৩) এর ৯(১),৯(৩)/৩০। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে সকল আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত গণধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-০৮ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা ০৬:০০ হতে ৮ মে দুপুর ১৩:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১০ এর উক্ত যৌথ আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন মোস্ত মাঝির মোড় ও একই থানাধীন ডেমরাঘাট এলাকায় একাধিক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বরগুনার সদর এলাকায় ১৫ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী ১। মোঃ খলিল (৩৮), পিতা-মোঃ শাহজাহান, ২। মোঃ বশির হোসেন (৩৫), পিতা-মোঃ আফজাল, উভয় সাং-পিটিআই সড়ক, থানা-বরগুনা সদর, জেলা-বরগুনা’দ্বয়কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আইনী প্রকৃয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর পড়ুন: