• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৯ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণা জমজমাট; আলোচনায় শফিক-মহিউদ্দিন; কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

ষ্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালীঃ / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৯ অপরাহ্ন

ষ্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ডগুলোতে বইছে ভোটের হাওয়া। হোটেল, রেস্তোরাঁ আর চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনী আলাপ–আলোচনায় মেতে উঠেছেন ভোটাররা। নির্বাচনী সভার পাশাপাশি প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন, ভোটারদের মন পেতে নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। তবে এখানে ৫ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও সাবেক মেয়র ডাক্তার শফিক ও বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ছাড়া তেমন কাউকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এতে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা শুরু হয়ে গেছে। এবং দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। গতানুগতিক প্রচারনার বাহিরেও একে অন্যকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ বিভিন্ন সভামঞ্চে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ মার্চ ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াইয়ে নেমেছেন ৫ জন। এরা হলেন, বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জগ প্রতীকের মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবাইল ফোন প্রতীকের ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নারিকেল গাছ প্রতীকের মো. এনায়েত হোসেন ও রেলগাড়ি প্রতীকের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ এবং বিএনপি নেতা কম্পিউটার প্রতীকের নাসির উদ্দিন খান।

এছাড়া ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ১৫ জন। পৌরসভার মোট ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬শ ৯৯ জন। আর এসব প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা মার্কা নিয়ে ভোটার সাধারণের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে উন্নয়ন ও সেবার নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট ও দোয়া কামনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এবার বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক মেয়র ডা. শফিকুল ইসলাম এর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিন মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ভরে গেছে রাস্তা-গলি। সব জায়গায় চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। শহরের তিন ওয়ার্ডের তরুণ ভোটার হেলাল উদ্দিন বলেন,’ পুরো পৌর এলাকায় উৎসবের আমেজ। নির্বাচনী প্রচারণা চলছে জোরেশোরে। মেয়র পদে ২ জন শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় প্রচারণা জমে উঠেছে।’

এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও দল থেকে মেয়র পদে জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা বিবেচনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলামকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এই নেতাকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রতিটি দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌর শহরের অলিগলিতে দল বেঁধে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খান আবি শাহনুর খান বলেন, “জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরে নিশ্চিত করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা, পাশাপাশি বৃদ্ধি করা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী। এছাড়াও সার্বক্ষণিক তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে প্রচারণা শুরুর প্রথম দিন থেকে আরচণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রায় জনকে আড়াই লক্ষ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।”


আরও খবর পড়ুন: