সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ১৪ নং মৌকরন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ এবং তাকে হত্যার চেষ্টায় বর্বরোচিত নির্যাতন ঘটনার মূল হোতাসহ জড়িতদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শ্রীরামপুর এলাকার শত শত নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় শ্রীরামপুর বাজারে মৌকরন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (হক সিকদার) এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মোঃ হানিফ এর সঞ্চালনায় দুই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী দেলোয়ার হোসেন দিলীপ। আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনা সদস্য মো. খবির উদ্দিন জোমাদ্দার, মৌকরন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর খলিলুর রহমান, ইউপি সদস্য ইসমত আরা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইসহাক আলী মৃধা, সাবেক ইউপি সদস্য সোহাগ হাওলাদার ও বিএনপি নেতা শাকের মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা পুলিশ প্রশাসনসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মৌকরন ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমকে অপহরণ করে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টার ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারীসহ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

উল্লেখ্য, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১ টায় গ্রীন লাইন পরিবহনে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে কেরানীগঞ্জ এলাকায় ১৫/২০ জন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে জোরপূর্বক টানা হেচরা করে তুলে নিয়ে বাবুবাজার এলাকায় নির্মানাধীন একটি ভবনে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে হাত-পা বেঁধে রেখে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এ ঘটনার এক পর্যায় চেয়ারম্যানের ছোট ভাইসহ স্বজনরা পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করে। পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ২ জানুয়ারী দুপুর ১২ টায় উল্লেখিত বাবুবাজার নির্মানাধীন ভবন থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে বলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতান হাওলাদার জানান। চেয়ারম্যানের সহধর্মীনী ফারহানা খানম রিতা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন বলে ইউপি সদস্য ইসমত আরা বেগম নিশ্চিত করেছেন।