জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকা কর্তৃপক্ষ (ইপিজেড) প্রকল্পে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে। চেক হাতে পেয়ে খুশী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ এলাকাবাসী।
বুধবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ইপিজেড সংলগ্ন পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহসড়ক এর পাশে শরীফ বাড়ি বাসস্ট্যান্ডে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইফফাত আরা জামান উর্মি এর সভাপতিত্বে ও ডিসি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ জিয়াউল হাসান সৌরভ’র সঞ্চালনায় ইপিজেড প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায় ১০০ জন ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ উল আলম, ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক। আরো উপস্থিত ছিলেন আউলিয়াপুর ইউপি সদস্য মো. মাহামুদুল হাসান, সংরক্ষিত ইউপি সাদস্য হ্যাপী আক্তার, সালমা বেগম, লিপি আক্তারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকার সাধারণ মানুষ।
প্রকাশ, পটুয়াখালীর পচাকোড়ালিয়া ও কুয়াকাটা মৌজায় ইপিজেড ও এর আওতায় ইনভেস্টরস ক্লাব স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকা কর্তৃপক্ষ হতে বিগত ২০২১ সালের ৩ মার্চ পচাকোড়ালিয়া মৌজার ৪১০.০৩ একর ও কুয়াকাটা মৌজার ২.২৫ একর মোট ৪১৩.০৩ একর ভূমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব হয়। পরবর্তীতে জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির অনুমোদনের প্রেক্ষিতে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুমদমন আইন -২০০৭ অনুযায়ী অধিগ্রহনের বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করে ২০২৪ সনের ৩১ জানুয়ারী ৮ ধারা নোটিশ জারি করা হয়। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ক্ষতিপূরন ছিল ২৬০ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। গত ১ বছর ৪ মাসে ১১৯৭ টি চেকের মাধ্যমে মোট ১০৬ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরন করা হয়। আজ বুধবার ইপিজেড প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ ১০৩ জন ক্ষতিগ্রস্থকে মোট ৯ কোটি ২০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৪৫ টাকা বিতরন করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ জনগন যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তার জন্য এলাকায় এসে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তাদের ক্ষতির পরিমান টাকার চেক বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছি। বৈরী আবহাওয়ার জন্য যারা চেক নিতে আসতে পারে নি, তাদেরকে তার অফিস থেকে সরাসরি চেক নেয়ার জন্য আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন এ ইপিজেডে ছোটবড় ৩২০ টি ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন হবে। এ বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে এলাকাসহ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পটুয়াখালী জেলা কৃষি নির্ভর এলাকা, কৃষি বান্ধব ইন্ডাস্টি স্থাপন করা হলে কৃষকরা বেশী লাভবান হবে। চেক হাতে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জণগন ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনায় উপস্থিত এলাকাবাসী আনন্দিত।