• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রী’র লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী

জালাল আহমেদ, পটুয়াখালীঃ / ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন

জালাল আহমেদ, পটুয়াখালীঃ স্ত্রীর লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়েছে মিরাজ নামের এক পাষন্ড স্বামী। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বাউফল হসপাতালে স্ত্রী তাকিয়া (১৮) এর লাশ রেখে পালিয়ে যান স্বামী। তাকিয়া সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ে।

জানা গেছে, এক বছর আগে বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস এলাকার ফজলু গাজীর ছেলে মিরাজের সঙ্গে তাকিয়ার বিয়ে হয়। বাউফল থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাকিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করেছেন।

তাকিয়ার ভাবী ঝুমুর সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে তাকিয়ার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত মিরাজ। যৌতুকের জন্য তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলতো শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির সাথে। গত তিন দিন ধরে তাকিয়াকে প্রচুর মারধর করে মিরাজ। বিষয়টি মোবাইল ফোনে তাকিয়া তার ছোট ভাইকে জানায়। মঙ্গলবার সকালে শ্বশুড় ফোন করে তাকিয়ার অসুস্থতার খবর জানায়।

বেলা ১১ টায় তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর জোড়পূর্বক তার স্বাক্ষর নেয় কয়েকজন যুবক। পরে হনুফা বেগমকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। এরপরই তাকিয়ার স্বামী মিরাজ কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুর খবর জেনে মা হনুফা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল হাসপাতালের এক নার্স বলেন, “তাকিয়ার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বলেন, “মিরাজ মাদকাশক্ত। সে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই।” এদিকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন তাকিয়ার শ্বশুড় ফজলু গাজী।

বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, “লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”


আরও খবর পড়ুন: