• বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার পটুয়াখালীতে তিন প্রার্থীর জন্য হাতপাখায় ভোট চাইলেন চরমোনাইর পীর সৈয়দ ফয়জুল করিম চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে মাকে হ*ত্যার অভিযোগে ছেলে খোকনকে গ্রে*প্তার করেছে পুলিশ

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
Update : বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে মোঃ খোকন হাওলাদার ওরফে ইউসুফ (৩৭)কে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গত ১০ মার্চ রাতে দক্ষিণ বিঘাই গ্রামের নিজ বাড়িতে রিজিয়া বেগম (৫৫) খুন হন। ইফতারের পর তারাবির নামাজের প্রস্তুতিকালে (সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে) যেকোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হয়।

পরদিন ১১ মার্চ নিহতের ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫৫) পটুয়াখালী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৫/১২৬)। এ নৃশংস হত্যার ঘটনায় জেলা পুলিশের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পটুয়াখালী জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল এর নেতৃত্বে তথ্যাপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে ২৬ এপ্রিল রাতে খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কাঠের তক্তা ও লোহার দা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খোকন জানান, মায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ, আপন বোনকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ এবং বাবার ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ হত্যার পরিকল্পনা করেন। ৯ মার্চ গাজীপুর থেকে পটুয়াখালী আসার পর ১০ মার্চ ইফতারের পর বাসায় ঢুকে মাকে প্রথমে কাঠের ভারী তক্তা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দা দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে গাজীপুর চলে যান।

আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে খোকন মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ হত্যাকান্ডের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।


আরও খবর পড়ুন: