জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বিয়ের আলাপকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষে বারেক ফকির (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। শনিবার (৩ মে) জোহরের নামাজ শেষে মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে হামলার ঘটনা ঘটলে রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩ মে) দুপুরে নামাজ শেষে আজহার খানের বড় ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ের বিষয়ে নিয়ে মেয়ে পক্ষের পরিবার বারেক ফকিরের কাছে জানতে চান। তিনি শান্তভাবে উত্তর দিলেও রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে উপুরযপরিকিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় রহমানের ভাই আরিফও লাঠি ও রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন বারেক ফকিরকে।
ওই দিন দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রেফার করেন। বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থা আরও অবনতির দিকে গেলে তাকে রবিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে বাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিকেল ৫টার দিকে বারেক ফকির মারা যান।
নিহতের ছেলে সুমন ফকির বলেন, “আমার বাবা একজন সৎ ও নিরীহ মানুষ ছিলেন। শুধু একটি বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণে রহমান ও তার ভাই আরিফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা অমানবিক ও পরিকল্পিত। আমরা তাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না, পথেই তিনি মারা যান। আমি একজন সন্তান হয়ে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেন এমন মৃত্যু আর কোনো পরিবারকে দেখতে না হয়।”
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজহার খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।