জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা- দশমিনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ শাহজাহান খান হত্যার ঘটনায় পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৬জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ছেলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপলু খান। মামলায় আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা নং ৩৯, তারিখ: ২৬.৯.২০২৪ইং।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, তার ছেলে মোঃ শাওন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তানভীর আহম্মেদ আরিফ, সালাউদ্দীন হিরা, মোঃ আঃ গনি, সুমন, মোঃ টিপু প্যাদা, মোঃ আতিকুর রহমান পারভেজ, মিজানুর রহমান মিজান, মোঃ মানিক, অলি, মোঃ মানিক, মোঃ সাহিন তালুকদার, মোঃ আব্দুল্লাহ তালুকদার, মোঃ আসিফ ফকির, মোঃ আকাশ, অলিউল্লাহ অলি, মোঃ জাহিদ, মোঃ ফয়সাল, মোঃ ইমন, আল আমিন, মোঃ সেলিম, মোঃ ইউনুচ গাজী, মোঃ এমদাদ হাওলাদার, মোঃ ইভান, মোঃ আরিফ, মোঃ ফারুক, মোঃ যুব, মোঃ বাদল ঘরামি, মিরাজ সিকদার, সাজিদ সিকদার, মোঃ ইয়ামিন, মোঃ মানসুর বয়াতী, মোঃ সাব্বির হোসেন, মোঃ মেহেদী, মোঃ সাব্বির হোসেন মোল্লা। এছাড়াও ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী রেয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। উক্ত সব আসামী জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। এ মামলায় ১৪জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এ মামলার বাদী পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও নিহত শাহজাহান খানের জৈষ্ঠ পুত্র মোঃ শিপলু খান মামলায় উল্লেখ করেছেন যে, বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাবার সময় ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার সময় পটুয়াখালীর শিয়ালী চৌরাস্তা কালভার্ট সংলগ্ন মোঃ ফারুক বিশ্বাসের চায়ের দোকানের সামনে রাস্তার উপরে তার বাবার উপর হামলা করে, তার মাথায় ও পিঠে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আসামীরা। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ২৮নভেম্বর তার বাবার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোঃ শাহজাহান খান পটুয়াখালী জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য ছিলেন।
সদর থানার ওসি মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।